Go First: সংস্থাকে বাঁচানোর চেষ্টা, সাময়িক স্বস্তি পেল Go First, আপাতত ঋণের কিস্তি দিতে হবে না, বেচতে হবে না সম্পদ
Go First Crisis:বুধবার ন্য়াশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট রামলিঙ্গম সুধাকর এবং এল এন গুপ্তর বেঞ্চ এমন নির্দেশ দিয়েছে।
নয়াদিল্লি: রাতারাতি বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল টিকিট। সংস্থাকে বাঁচাতে ন্য়াশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালে গিয়েছিল গো ফার্স্ট, যাতে দেউলিয়া হতে না হয়। বিমান পরিবহণ সংস্থা Go First-এর সেই আবেদন গৃহীত হল। বুধবার তাদের আর্জি গ্রহণ করেছে ন্য়াশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল (NCLT)। তার আওতায় ঋণের ভারে জর্জরিত বিমান সংস্থার পরিকাঠামোই পাল্টে ফেলা হবে। ফলে আপাতত সম্পদ বিক্রি করে দেনা শোধ করতে হবে না তাদের। বরং পরিষেবা অক্ষুণ্ণ রেখে ব্যাবসাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা করতে হবে (Go First Crisis)।
আপাতত ঋণশোধের বা কিস্তি দেওয়ার দায় থাকবে না
বুধবার ন্য়াশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট রামলিঙ্গম সুধাকর এবং এল এন গুপ্তর বেঞ্চ এমন নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে, সংস্থাকে বাঁচাতে হবে। ফলে আপাতত ঋণশোধের বা কিস্তি দেওয়ার দায় থাকবে না Go First-এর। বরং অন্তর্বর্তীকালীন পরিস্থিতিতে পেশাদার নিযুক্ত করা হবে, যাঁরা ম্যানেজমেন্টের যাবতীয় দায়-দয়িত্ব গ্রহণ করবেন অবিলম্বে। সংস্থাটিকে সঙ্কট থেকে বার করে আনার চেষ্টা করতে হবে।
NCLT-এর তরফে আপাতত অভিলাস লালের হাতে Go First-এর দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। ফলে এতদিন যাঁরা ম্যানেজমেন্ট সামলাচ্ছিলেন, তাঁদের হাত থেকে ক্ষমতা চলে গেল। তবে বিমান সংস্থাটির কার্য পরিচালনায় নয়া ম্যানেজমেন্টকে সাহায্য করতে হবে তাঁদের। আপাত ভাবে তাতে যে খরচ পড়বে, সেই বাবদ ৫ কোটি টাকাও জমা করতে হবে Go First-কে।
শুধু তাই নয়, আপাতত Go First-এর সংস্থার ৭ হাজার কর্মীদের মধ্যে কারও চাকরি যাওয়া চলবে না। NCLT সাফ জানিয়েছে, আপাতত কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করতে পারবে না বিমান সংস্থাটি। যতদিন এই মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া চলবে, ততদিন বলবৎ থাকবে এই নিয়ম। ফলে আপাতত পুনর্জীবন পেল Go First. এর ফলে পরিষেবা পুনরায় চালু করতে পারবে তারা। তবে সমস্যা বাড়ল বিদেশি ইজারাদার সংস্থাগুলির। Go First-এর দেখে বিমানগুলি পুনর্দখল করতে পারবে না তারা।
এর আগে, ইজারাদারদের তরফে সরাসরি দেশের অসমারিক বিমান পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ৪৫টি বিমান ফেরত চেয়ে আবেদন জানানো হয় তাতে। তবে দেউলিয়া বিধি কার্যকর করার আবেদন জানানোর সময়ই, আমেরিকার ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক সংস্থা প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি-কে দোষারোপ করেছিল Go First. তাদের দাবি ছিল, ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনের জন্যই এয়ারবাস A320neos-এর অন্তর্গত অর্ধেক বিমান বসিয়ে রাখতে হচ্ছে তাদের। যদিও সেই দাবি খারিজ করে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি। Go First-ই লাগাতার ধার রেখে গিয়েছে বলে দাবি করে তারা।
তবে NCLT-র নির্দেশের পর স্বস্তি পেল Go First. সংস্থার সিইও কৌশিক খোনা এই নির্দেশকে ঐতিহাসিক বলে ইল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও ভারতীয় বিমান সংস্থা স্বেচ্ছায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন জানায়, যাতে সমস্ত ঋণ এবং চুক্তি নিয়ে পুনরায় বিবেচনা করা যায়।
আপাতত ১৯ মে পর্যন্ত Go First-এর বিমান পরিষেবা বাতিল রয়েছে
সাধ্যের মধ্যে ভাড়া রাখার জন্যই পরিচিত Go First. যাত্রী পরিবহণের নিরিখে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিমান সংস্থা। গত সপ্তাহে তাদের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার খবর সামনে আসে। সেই অবস্থায় সমাধানসূত্র বার করতে আবেদন জানায় Go First. আপাতত ১৯ মে পর্যন্ত Go First-এর বিমান পরিষেবা বাতিল রয়েছে। মঙ্গলবার সেই নিয়ে Go First-কে নোটিস ধরায় DGCA. নিরাপদ এবং ভরসাযোগ্য উপায়ে পরিষেবা দিতে না পারায় শোকজ করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয় টিকিট বিক্রিও।