Google Layoffs: ১২ হাজার ছাঁটাই, সুন্দর পিচাইকে খোলা চিঠি লিখলেন গুগলের কর্মীরা, জেনে নিন দাবি
Sunder Pichai: গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট ১২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণার পরই এবার কোম্পানির সিইওকে খোলা চিঠি লিখল কর্মীরা।
Sunder Pichai: গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট ১২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণার পরই এবার কোম্পানির সিইওকে খোলা চিঠি লিখল কর্মীরা। সুন্দর পিচাইকে লেখা চিঠিতে রয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি।
Google Layoffs: কী লেখা রয়েছে চিঠিতে ?
কোম্পানির কর্ণধারকে লেখা চিঠিতে গুগলের কর্মীরা বলেছেন, এখন তাদের চাকরি গেলেও ভবিষ্যতে কোম্পানিতে পুনরায় নিয়োগের ক্ষেত্রে যেন ছাঁটাই কর্মীরা অগ্রাধিকার পান। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন বলছে, চিঠিতে নিয়োগ বন্ধের প্রসঙ্গ তুলেছেন কর্মীরা। এছাড়াও ইউক্রেনের মতো মানবিক সঙ্কটে থাকা দেশগুলোতে কর্মচারীদের ছাঁটাই না করারও আবেদন জানিয়েছে কর্মচারীরা।
খোলা চিঠিতে কর্মচারীরা গুগলের সিইওকে বলেছেন, কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিলে তাদের যেন সম্পূর্ণ নোটিস পিরিয়ড সার্ভ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এমনিতেই ইউক্রেনের মতো দেশগুলিতে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেখানে চাকরি হারানো ব্যক্তিকে যেন ভিসা বা অতিরিক্ত সাহায্য় দেওয়া হয়।
Tech Layoffs: এই সংস্থাগুলি জানুয়ারিতে ছাঁটাই করেছিল
জানুয়ারিতে, অ্যালফাবেট ঘোষণা করেছিল মহামারীর পর আর্থিক মন্দার আতঙ্ক রয়েছে কোম্পানির ওপর। এক্ষেত্রে প্রায় ৬ শতাংশ কর্মী কমিয়ে দেবে কোম্পানি। Meta Platforms Inc., Amazon.com Inc. ও Microsoft Corp জানুয়ারিতে চাকরি ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে।
Google Layoffs: ছাঁটাইয়ের দায়িত্ব নেন সুন্দর পিচাই
২০ জানুয়ারি চাকরি ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছিলেন কোম্পানির সিইও সুন্দর পিচাই। কর্মীদের একটি ইমেলে তিনি জানান, সংস্থা এখন ব্যবসা বাড়াতে কাজ করছে। এই ছাঁটাইয়ের পুর দায় তাঁর।
Mark Zuckerberg: প্রথম দফায় ১১ হাজার। দ্বিতীয় দফায় ১০ হাজার। মেটা'র কর্মী ছাঁটাইয়ের (meta Layoffs) পরিসংখ্যান রীতিমতো আতঙ্ক ধরাচ্ছে। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালেই ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল মেটা (Meta) কর্তৃপক্ষ। সেই সময়েই আরও কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই ভাবনাই সত্যি হয়েছে। চলতি বছর ফের ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে মেটা সংস্থা। ইমেলের মাধ্যমে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের নোটিস পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি আবার কর্মীদের কর্মদক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মেটা'র সিইও মার্ক জুকেরবার্গ। সম্প্রতি তিনি মন্তব্য করেছেন রিমোট ওয়ার্কারদের তুলনায় যাঁরা অফিসে বসে কাজ করেন, তাঁরা অনেক বেশি দক্ষ। এখানে রিমোট ওয়ার্কার বলতে মূলত যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন তাঁদের কথাই বলা হয়েছে। মার্ক জুকেরবার্গের মতে যাঁরা অফিসে বসে কাজ করেন সেই কর্মীদের তুলনায় যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন তাঁরা কম দক্ষ।