Patanjali: শিক্ষাক্ষেত্রেও বিরাট অবদান, 'গুরুকুল' প্রথার ঐতিহ্য আজও বহন করে চলেছে পতঞ্জলি
Patanjali Gurukul Education: পতঞ্জলি সংস্থা তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির অধীনে ভারতের দরিদ্র শিশুদের সহায়তা করার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ করেছে।

Patanjali News: যোগগুরু বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণর পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ শিক্ষাক্ষেত্রেও বিরাট অবদান রাখছে যোগ ও আয়ুর্বেদের পাশাপাশি। পতঞ্জলির শিক্ষা প্রকল্পগুলি যেন আধুনিক যুগের গুরুকুল শিক্ষা। দেশের দরিদ্র শিশুদের (Patanjali) জীবন বদলে দিচ্ছে পতঞ্জলির এই গুরুকুল শিক্ষা পদ্ধতি। পতঞ্জলির আচার্যকুলম, গুরুকুল এবং পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয় নিরন্তর কাজ করে চলেছে দরিদ্র শিশুদের ভাল উন্নতমানের শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে।
এই সমস্ত স্কুলগুলিতে বেদ এবং ভারতীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি আধুনিক বিষয়েও শিক্ষা দেওয়া হয়। হরিদ্বারে অবস্থিত আচার্যকুলম একটি সিবিএসই-অনুমোদিত স্কুল যেখানে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদান করা হয়। এখানে উন্নতমানের শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধের শিক্ষাও দেওয়া হয়। গুরুকুল প্রতিষ্ঠানেও বেদ, ভারতীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি আধুনিক বিষয়ে শিক্ষাদান করা হয়।
ভারতে ৫০০-রও বেশি স্কুল খোলার লক্ষ্য রয়েছে
পতঞ্জলি সংস্থা তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির অধীনে ভারতের দরিদ্র শিশুদের সহায়তা করার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ করেছে। আচার্যকুলমের মত স্কুলগুলিতে এই সংস্থা অনেক টাকা লগ্নি করেছে এবং ভারত জুড়ে ৫০০টিরও বেশি স্কুল খোলার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে পতঞ্জলির। এর মাধ্যমে দেশের দরিদ্র শিশুরা সাশ্রয়ী এবং উন্নতমানের শিক্ষা পাবে। পতঞ্জলির এডুকেশন প্রোগ্রাম শুধু যে শিশুদের শিক্ষিত করে তোলার জন্য তাই নয়, এর পাশাপাশি সমাজে অব্দান রাখতেও শিশুদের উৎসাহিত, উদ্বুদ্ধ করে।
শিক্ষাক্ষেত্রে বড় বদল আনব আমরা: বাবা রামদেব
পতঞ্জলির ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা বাবা রামদেব জানিয়েছেন যে তাদের লক্ষ্য হল শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাট বদল আনা। এই বদল দরিদ্র শিশুদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল করবে তাদের উন্নতমানের শিক্ষাদানের মাধ্যমে। পতঞ্জলির এই উদ্যোগ দরিদ্র শিশুদের জীবনে ইতিবাচক বদল আনার ক্ষেত্রে এক বড় পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ শিশুদেরকে সমাজে তাদের অবদান সম্পর্কেও বহুলভাবে সচেতন করে তোলে তাদের শিক্ষার পাশাপাশি।
আয়ুর্বেদ জগতে বিপ্লব এনেছে পতঞ্জলি
মানুষ এখন আধুনিক জীবনধারার জন্য প্রাচীন সমাধান ব্যবহার করছে। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ এই বিষয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছে। যোগগুরু বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ আয়ুর্বেদিক পণ্য ও চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছে।
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ দাবি করে যে পণ্যগুলিতে প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যেমন অশ্বগন্ধা, শতাভরী, ত্রিফলা, তুলসী যা শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে। এই পণ্যগুলি শুধু যে রোগের নিরাময় ঘটায় তাই নয়, বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। পতঞ্জলি বলে, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি মানসিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যকেও গুরুত্ব দেয়।






















