Patanjali Foods: ভাল ফল করল পতঞ্জলি ফুডস, প্রথম ত্রৈমাসিকে দারুণ বৃদ্ধি, কারণ কী জানেন ?
Swami Ramdev : এই বৃদ্ধি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন শহরে কোম্পানির পণ্যের চাহিদা দুর্বল ছিল। পাশাপাশি মার্কেটে তীব্র হয়েছে প্রতিযোগিতা।

Swami Ramdev : ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (Q1FY26) ভাল ফল করল পতঞ্জলি ফুডস লিমিটেড। কোম্পানি এই নির্দিষ্ট সময়ে ৮,৮৯৯.৭০ কোটি টাকা 'স্ট্যান্ড অ্যালোন' রেভিনিউ রিপোর্ট করেছে, যা গত বছরের একই ত্রৈমাসিকের তুলনায় ২৪% বেশি। এই বৃদ্ধি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন শহরে কোম্পানির পণ্যের চাহিদা দুর্বল ছিল। পাশাপাশি মার্কেটে তীব্র হয়েছে প্রতিযোগিতা।
সংখ্যা ও পারফরম্যান্স কেমন ছিল কোম্পানির
১ খাবার ও অন্যান্য FMCG পণ্য থেকে রাজস্ব ছিল ১,৬৬০.৬৭ কোটি টাকা।
২ হোম অ্যান্ড পার্সোনাল কেয়ার (HPC) ৬৩৯.০২ কোটি টাকা আয় করেছে কোম্পানি।
৩ মোট EBITDA ছিল ৩৩৪.১৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে HPC ৩৬% এরও বেশি অবদান রেখেছে।
৪ কোম্পানির নিট মুনাফা ছিল ১৮০.৩৯ কোটি টাকা।
গ্রামীণ ভারত কোম্পানির ভাল পারফরম্য়ান্সের উৎস হিসাবে কাজ করেছে
গত ত্রৈমাসিকের ময়ে মুদ্রাস্ফীতি ও সরকারি বিনামূল্যে খাদ্য প্রকল্পের কারণে শহুরে গ্রাহকরা প্রিমিয়াম পণ্য থেকে দূরে থাকলেও, গ্রামীণ চাহিদা অব্যাহত ছিল। সেই কারণে গ্রামাঞ্চলে তাদের বিস্তৃতি বৃদ্ধির জন্য কোম্পানি 'গ্রামীণ ডিসট্রিবিউটর প্রোগ্রাম' ও 'গ্রামীণ আরোগ্য কেন্দ্র'-এর মতো উদ্যোগ চালু করেছে।
মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস ও ছোট প্যাকের জনপ্রিয়তা শহুরে গ্রাহকদের আরও সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প দিয়েছে। পতঞ্জলি ছোট SKU ও ভ্যালু প্যাক চালু করে এই গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়িয়েছে। এ ছাড়াও 'সমৃদ্ধি আরবান লয়ালটি প্রোগ্রাম'-এর মতো প্রচেষ্টা শহুরে দোকানগুলিতে ব্র্যান্ডের উপস্থিতি ও অর্ডার বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে।
কোম্পানির রফতানি ও সম্প্রসারণ
কোম্পানি প্রথম ত্রৈমাসিকে ২৭টি দেশে তার পণ্য রফতানি করেছে, যার ফলে ৩৯.৩৪ কোটি টাকা রাজস্ব এসেছে। পতঞ্জলি ফুডসের ঘি, বিস্কুট, জুস ও নিউট্রাসিউটিক্যালসের মতো পণ্যগুলির আন্তর্জাতিক বাজারে জোরালো চাহিদা অব্যাহত রয়েছে।
এর মধ্যে 'দন্ত কান্তি', 'কেশ কান্তি' এবং 'সৌন্দর্য'-এর মতো ব্র্যান্ডগুলি ভালো পারফর্ম করেছে। 'অ্যালোভেরা', 'রেড' এবং 'মেডিকেটেড জেল'-এর মতো প্রিমিয়াম ভেরিয়েন্টগুলি গ্রাহক বেশ কিনেছে।
ভোজ্যতেলে বৃদ্ধি বেড়েছে কীভাবে
কোম্পানি জানিয়েছে, প্রথম অর্থবর্ষের ত্রৈমাসিকে ৬,৬৮৫.৮৬ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছে তাদের। যার মধ্যে ব্র্যান্ডেড তেল মোট বিক্রির পরিমাণ ৭২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের দাম কমে যাওয়া ও ভারতের শুল্ক হ্রাস এই চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে।
মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস, আরবিআই নীতি ও ভালো বর্ষার কারণে আগামী মাসগুলিতে গ্রাহক চাহিদার উন্নতি হবে বলে আশা করছে কোম্পানি । পতঞ্জলি ফুডস তার ব্র্যান্ড পোর্টফোলিওকে শক্তিশালী করতে ও ডিস্ট্রিবিউশনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য বেশ কয়েকটি কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই ত্রৈমাসিক ফলাফলগুলি দেখায় যে- পতঞ্জলি ফুডস আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে। এই সময়তেই নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই ক্ষেত্রে গ্রামীণ ভারতের সাপোর্ট ও উফভোক্তা-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি কোম্পানির সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হিসাবে উঠে এসেছে।






















