LG Electronics: স্মার্টফোন ব্যবসার পাততাড়ি গোটাচ্ছে এলজি
গত জানুয়ারিতেই স্মার্টফোন ডিভিশন বন্ধ করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল এলজি। তারা জানিয়েছিল, গত ছয় বছরে মোট ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসানের অঙ্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবসা নিয়ে সমস্ত বিকল্পই বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি: লোকসানে চলছে স্মার্টফোন ডিভিশন। তাই তাদের লোকসানে চলা স্মার্টফোন ডিভিশনের উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধ করে দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি এলজি ইলেট্রনিক্স।
গত জানুয়ারিতেই স্মার্টফোন ডিভিশন বন্ধ করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল এলজি। তারা জানিয়েছিল, গত ছয় বছরে মোট ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসানের অঙ্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবসা নিয়ে সমস্ত বিকল্পই বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সোমবার তারা তাদের স্মার্টফোন ডিভিশনের উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধের কথা জানালো।
এর আগে এই ব্যবসার কিছু অংশ ভিয়েতনামের ভিনগ্রুপকে বিক্রয়ের একটা কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই আলোচনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর, শর্ত সংক্রান্ত মতপার্থক্যের কারণে এই আলোচনা ভেস্তে যায়।
আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা সহ সেল ফোনের নয়া নয়া উদ্ভাবন নিয়ে বাজারে এসেছিল এলজি। ২০১৩-র প্রথমার্ধের মধ্যেই তারা বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক স্মার্টফোন উৎপাদনকারী সংস্থা হয়ে উঠেছিল। এক্ষেত্রে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ও অ্যাপলের পরের স্থানে ছিল এলজি।কিন্তু পরবর্তী কালে এর ফ্ল্যাগশিপ মডেলগুলি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার-উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হয়। সেই সঙ্গে সফটওয়্যার আপডেটের ক্ষেত্রে মন্থরতায় ক্রেতাদের কাছে এর জনপ্রিয়তা দ্রুত কমতে থাকে।
এক্ষেত্রে বিশ্লেষকরা চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় এলজি-র মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতার অভাবের সমালোচনা করেছেন।
এলজি বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় ক্রমতালিকায় তিন নম্বর ব্র্যান্ড এবং মার্কেট শেয়ারের ক্ষেত্রে লাতিন আমেরিকার পাঁচ নম্বরে। সারা বিশ্বে এর শেয়ার মাত্র ২ শতাংশ। গত বছর এলজি ২৩ মিলিয়ন ফোন রফতানি করেছিল। সেখানে স্যামসাংয়ের রফতানি ছিল ২৫৬ মিলিয়ন।
এলজি-র পাঁচটি ডিভিশনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট এই স্মার্টফোন ডিভিশন, চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মোট রেভিনিউ-র মাত্র ৭.৫ শতাংশ।
হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবসা ও ক্রমবর্ধমান ভেহিক্যাল কমপোনেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এলজি তাদের মোবাইল প্রযুক্তি ধরে রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।গত বছর অটোমেটিভ সরবরাহকারী মাগনা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ শুরু করেছে এলজি। যা ইলেকট্রিক গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তৈরি করবে।