Trump Tariff : এবার ১০০ শতাংশ শুল্ক বোমা ট্রাম্পের, চিন-জাপান না ভারত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে
India US Relation : সেমিকন্ডাক্টর চিপসের (Semiconductor Chip Tariffs) ওপর এই অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হয়েছে। জেনে নিন, এর ফলে ভারত কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

India US Relation : ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। ফের বিশ্বের বুকে শুল্ক বোমা ফাটালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump Tariff) । এবার ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President)। সেমিকন্ডাক্টর চিপসের (Semiconductor Chip Tariffs) ওপর এই অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হয়েছে। জেনে নিন, এর ফলে ভারত কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ কী করছেন ট্রাম্প !
বর্তমানে একের পর এক শুল্কের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর, এখন তা ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, এই বর্ধিত হারের জন্য ২০ দিনের গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া হয়েছে, যেখানে ২৫ শতাংশ শুল্ক হার আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।
এবার ১০০ শতাংশ শুল্ক
এদিকে, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এখন সেমিকন্ডাক্টর চিপসের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চলেছেন। মনে করা হচ্ছে যে ট্রাম্পের এই ঘোষণা সমগ্র বিশ্বের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতও এর থেকে অক্ষত থাকবে না, কারণ ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বাজার খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চিপসের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক কেন ?
আসলে, রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ইতিমধ্যেই ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এই বলে যে তিনি সেমিকন্ডাক্টর চিপের উপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন।
বর্তমানে অনেক দেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে কাজ করছে, কিন্তু ভারত দ্রুত এই ক্ষেত্রে একটি প্লেয়ার হয়ে উঠছে। সরকার এই খাতে দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করে অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে।
ভারতের উপর এর প্রভাব পড়বে ?
যদি ট্রাম্প চিপের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, তাহলে এর গভীর প্রভাব পড়বে তাইওয়ান, জাপান ও চিনের পাশাপাশি ভারতের ওপরও। একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে- ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বাজার আগামী পাঁচ বছরে ১০০ থেকে ১১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে। গত তিন বছরে এই খাতে অসাধারণ বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২২ সালে ভারতের চিপ বাজার ছিল প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ অর্থবছরে ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পৌঁছেছে। যেখানে, মার্কিন চিপ বাজার ছিল ১৩০ বিলিয়ন ডলার এবং চিনের বাজার ছিল ১৭৭.৮ বিলিয়ন ডলার।
( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)






















