এক্সপ্লোর
Advertisement
জন্মের ১৬ ঘন্টা পরই সন্তানকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলার জন্য চার বছরের কারাদণ্ড মহিলার
আবর্জনার স্তুপে সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে দেওয়ার জন্য দিল্লির দায়রা আদালতে চার বছরের কারাদণ্ড ৩৫ বছরের এক মহিলার। ২০১৬ সালে ওই মহিলা তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে আবর্জনার স্তুপে ফেলেছিলেন। জন্মের ১৬ ঘন্টা পরই ওই শিশুকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পরে মারা যায় সদ্যোজাত।
নয়াদিল্লি: আবর্জনার স্তুপে সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে দেওয়ার জন্য দিল্লির দায়রা আদালতে চার বছরের কারাদণ্ড ৩৫ বছরের এক মহিলার। ২০১৬ সালে ওই মহিলা তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে আবর্জনার স্তুপে ফেলেছিলেন। জন্মের ১৬ ঘন্টা পরই ওই শিশুকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পরে মারা যায় সদ্যোজাত।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, অনিচ্ছাকৃত খুনের জন্য এই সাজা ঘোষণা হয়েছে। কারণ, ওই মহিলা জানতেন শিশুর বয়স মাত্র ১৬ ঘন্টা এবং তাকে ফেলে দিলে বাঁচার সম্ভাবনা নেই।
২০১৬-র ৬ এপ্রিল নূর হাসান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পরিত্যক্ত সদ্যোজাত সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। ওই ব্যক্তি দূর থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তিনি সদ্যোজাতকে বাড়িতে নিয়ে যান। তখন শিশুটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, রক্ত পড়ছিল শরীর থেকে। সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এই মামলায় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক নবীন গুপ্তা উল্লেখ করেছেন যে, প্রত্যেক সন্তানই বৈধ। দোষী সাব্যস্তর কর্তব্য ছিল মা হিসেবে তার দেখভাল করা। নিজের দায়িত্ব পালন না করে তিনি প্রাণহীন কোনও বস্তুর মতো সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে দেন। একইসঙ্গে আদালত দোষীর শিক্ষা, রোজগার ও সামাজিক মর্যাদার মতো বিষয়গুলিও বিস্মৃত হতে পারে না।
জানা গেছে, ওই বিধবা মহিলার পাঁচ সন্তান। আরও এক সন্তানকে প্রতিপালনের মতো সঙ্গতি তাঁর ছিল না। এক সাক্ষী জানিয়েছেন যে, তিনি ওই মহিলাকে তাঁর বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। ওই সাক্ষী আরও বলেছিলেন, ওই মহিলাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু তিনি জানিয়েছিলেন যে, তাঁর পেটের সমস্যা রয়েছে।
ওই মহিলা অবশ্য তাঁর সন্তানকে ফেলে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি ছিল, ওই সন্তানের বাবাই তাকে নিয়ে গিয়ে নূর হাসানকে দিয়েছিলেন। সমাজে কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, এই যুক্তি দিয়ে সদ্যোজাতকে নিয়ে গিয়েছিল তার বাবা।
ওই মহিলার অভিযোগ, শিশুর বাবাকে বাঁচাতে হাসান অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, ওই সন্তানের জন্মের সময় তার বাবার উপস্থিত থাকার কোনও প্রমাণ পেশ করা হয়নি। কিংবা মহিলা ওই ব্যক্তিকে তখন ফোন করেছিলেন,এমন কোনও তথ্যও পেশ করা হয়নি।
অপরাধ (Crime) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement