Gold Shop Burglary:রানাঘাটে সোনার বিপণিতে ডাকাতিতে ৪ দুষ্কৃতীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টের
Life Term Imprisonment:রানাঘাটে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় ৪ দুষ্কৃতীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল রানাঘাট ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। দোষী সাব্যস্ত ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: রানাঘাটে সেনকো গোল্ডের (Ranaghat Gold Showromm Burglary) শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় ৪ দুষ্কৃতীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল রানাঘাট ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট (Ranaghat Fast Track Court Gives Life Imprisonment)। দোষী সাব্যস্ত ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছর ২৯ অগাস্ট দিনেদুপুরে রানাঘাটে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতি হয়েছিল। তাতে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালায় দুষ্কৃতীরা। কুন্দন যাদব, ছোটু পাসোয়ান, রাজু পাসোয়ান ও রিকি পাসোয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পঞ্চম 'দুষ্কৃতী' মণিকান্ত যাদব পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিল। পরে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তার।
যা জানা গেল...
গত কাল, অর্থাৎ বুধবার ওই ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন রানাঘাট ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক। গত বছর, ২৯ অগাস্ট, রানাঘাটের সেনকো গোল্ডের শোরুমে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তার ঠিক দেড়শো দিনের মাথায়, ৪ দুষ্কৃতীকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল কোর্ট।
ফিরে দেখা...
অগাস্টের শেষাশেষি নদিয়ার রানাঘাটে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘিরে তীব আলোড়ন দেখা দিয়েছিল রাজ্যে। একই দিনে পুরুলিয়াতেও আর একটি সোনার বিপণীতে ডাকাতি হয়েছিল। একই দিনে রাজ্যের দুই জেলায় সোনার বিপণির দুই শোরুমে ডাকাতির ঘটায় প্রশ্ন ওঠে নিরাপত্তা নিয়ে। রানাঘাটের সোনার দোকানে ভরদুপুরে গুলি চালিয়ে লুঠ করা হয় বলে প্রাথমিক ভাবে উঠে ওঠে। সেখানে সেনকো গোল্ডের শোরুম থেকে ৯০ শতাংশ গয়নাই লুঠ করা হয়। তবে ১০ মিনিটের মধ্যে খবর যায় পুলিশে। পালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই বাধে দুষ্কৃতীদের। লুঠের গয়না বেশ কিছুটা উদ্ধারও হয় বলে সূত্রের খবর। রানাঘাটের শোরুমের ম্যানেজার জানান, ঘটনার সময় লাগোয়া রুমে তিনি দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারছিলেন। হঠাৎই একটি আওয়াজ পেয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। দেখা যায়, বিপণির ক্যাশ কাউন্টারের সামনে অনেকের জটলা। প্রত্যেকের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে দাবি ম্যানেজারের।
অন্য দিকে, একই দিনে পুরুলিয়ার নামোপাড়ায় সোনার দোকানে ৭ ডাকাত চড়াও হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে সোনার গয়না, হিরে নিয়ে চম্পট দেয় তারা, এমনই অভিযোগ ওঠে। ৭ জনের দুষ্কৃতী দল মোটরবাইক নিয়ে এসেছিল। শোরুমে ঢোকার সময় একজনের মাথায় ছিল হেলমেট। বাকিদের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার গয়না, হিরে লুঠ করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:ক্রিকেট খেললেন মুখ্যমন্ত্রী