Election Commission: বিজেপি-কে জেতাতে এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছে নির্বাচন কমিশন, এবার মুখ খুললেন অভিষেকও
Abhishek Banerjee: মমতার পর কমিশনকে আক্রমণ অভিষেকের।

কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় একদিন আগেই ফুঁসে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নির্বাচন কমিশনকে বিজেপি-র 'ক্রীতদাস' বলে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এবার কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন। তাঁর দাবি, বিজেপিকে জেতাতেই বাংলার মানুষের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে ভোটার তালিকা থেকে। (Election Commission)
বুধবার ঝাড়গ্রামের সভা থেকে কমিশনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন মমতা। বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কমিশনকে নিশানা করলেন অভিষেক। তিনি বলেন, "আদর্শ আচরণ বিধি ঘোষণা হলে তবেই রাজ্যের সিভিক এবং পুলিশ প্রশাসনকে নিজের মতো চালায় নির্বাচন কমিশন, যাতে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়, কোনওরকম পক্ষপাতিত্ব না থাকে। কিন্তু নির্বাচনে এখনও ১০-১১ মাস বাকি রয়েছে। প্রায় দেড় বছর আগে থেকে নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দেবে না বলে, বিজেপি-কে বাড়তি সুযোগ করে দেবে বলে এসব করছে।" (Abhishek Banerjee)
বাঙালি ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়াই বিজেপি ও কমিশনের লক্ষ্য বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। বলেন, "বাংলার প্রতি যেমন ধারাবাহিক বঞ্চনা করে চলেছে কেন্দ্র, বিচারব্যবস্থাকে যেমন কাজে লাগিয়েছে, সংবাদমাধ্যমের একাংশকে কাজে লাগিয়ে যেমন সন্দেশখালির ঘটনার প্রচার করেছে সর্বভারতীয় স্তরে, এখন নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে বাংলার প্রকৃত বাঙালিরা, যাঁরা বাংলায় কথা বলেন, বাংলায় থাকেন, বাংলার প্রকৃত ভোটার, তাঁরা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারেন, তাঁদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতেই নির্লজ্জ ভূমিকায় নেমেছে নির্বাচন কমিশন।"
ভোটার তালিকায় কারচুপি করার অভিযোগে সম্প্রতি রাজ্যের পাঁচ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। মমতা গতকালই জানিয়ে দেন, অপরাধ করেননি, এমন কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে না তাঁর সরকার। এদিন অভিষেক বলেন, "এই এক্তিয়ার কমিশনের নেই। তারা রাজ্যকে জানাতে পারে। কিন্তু রাজ্যের নির্বাচিত সরকার, ১২ কোটি মানুষ যে সরকারকে নির্বাচিত করেছে, তারা কী করবে, কী না করবে, তা নিয়ে একমাত্র মানুষের কাছেই জবাব দিতে দায়বদ্ধ রাজ্য সরকার। কোনও দল বা কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয় রাজ্য। আমার বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে চার বছরের মধ্যে যেভাবে ৫০টিরও বেশি মামলায় সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয়, কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চের উপর প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে ছোট করতে, তৃণমূলকে চাপে রাখতে চেয়েছে, যা সকলে দেখেছেন।"
আর জি কর মামলা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, "গত বছর এই সময় আর জি করের ঘটনানিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করা হয়েছে। বদনাম করা হয়েছে রাজ্যের। গোটা দেশে দুর্নাম ছড়ানো হয়েছে। অথচ পুলিশ ২৪ ঘণ্টায় যে কাজটা করে দেখায়, গত এক বছরেও তা করতে পারেনি সিবিআই। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু মানুষ বাংলাকে ছোট করছে। তারা বিগত দিনেও জবাব পেয়েছে, আগামী দিনেও শিক্ষা পাবে। ২০২১, ২০২৪-এর ভুব থেকে শিক্ষা নেওয়া যেত। কিন্তু বিজেপি শিক্ষা নেয় না। এখন জল জীবনের টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে। পানীয় জল, যা কি না মানুষের জীবন, সেই টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজ, আবাস, রাস্তা, জিএসটি-র পর জলের টাকাও বন্ধ।"






















