Akhil Giri Controversy: 'ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই', মন্ত্রিত্ব ছাড়ার ব্যাপারেও অনুতপ্ত নন অখিল !
Kanthi Incident Update: তীব্র সমালোচনার মুখে অখিলকে নিয়ে বেনজির অবস্থান তৃণমূলের। এখনও কেন গ্রেফতার নয়? প্রশ্ন বিরোধীদের
কাঁথি : তৃণমূল কংগ্রেসের বরখাস্তের হুঁশিয়ারির পরেই পদত্যাগের ঘোষণা অখিল গিরির। পদত্যাগের পরেও নিজের অবস্থানেই অনড় বর্ষীয়ান এই নেতা। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। রেঞ্জ অফিসারের কাছে ক্ষমা চাইব না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অখিল বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী কাল সারাদিন এই ঘটনাটা দেখেছেন। তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার ব্যাপারে আমি অনুতপ্ত নই। আমি মন্ত্রী হয়েছি ২০২১ সালে। মন্ত্রিত্ব আমার কাছে কোনও বড় কথা নয়। বড় কথা, আমার এলাকার মানুষকে নিয়ে যতটুকু লড়াই করা দরকার, আগামীদিনে আমার লড়াই চলবে। আমি সবসময় দলের অনুগত সৈনিক। যখন যা নির্দেশ দিয়েছে, তখন সেইমতোই কাজ করেছি দলে থেকে। এখনও করব। আমি নিজে জনপ্রতিনিধি হিসাবে লড়াই করব। আমার কাছে যদি কোনও পদ না থাকে, আমার রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লড়াই করে যাব। '
কেন সবসময় তিনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন ? এ প্রশ্নের উত্তরে অখিল বলেন, 'পরিস্থিতিতে কখনও কখনও আমার মুখ থেকে ওইসব কথা বেরিয়ে পড়ে। পরিস্থিতির সময় আমি একটু উত্তেজিত হয়ে যাই। এই উত্তেজিত হওয়ার সময় যে কথাগুলো উচ্চারণ করি, পরবর্তীকালে মনে হয় বোধহয় না বললেই ভাল হত। কথা বেরিয়ে গেলে তো আর ফেরানো যায় না। হয়তো আমার নিজের ভুল।'
মহিলা রেঞ্জারকে কি ফোন করে ক্ষমা চেয়েছিলেন ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমার রাজনৈতিক জীবনে কোনও দিন আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাই না। আমার ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।'
প্রেক্ষাপট-
ফের ঔদ্ধত্যের আস্ফালন!ফের বিতর্কে কারামন্ত্রী অখিল গিরি। এবার আরও বেলাগাম।
বন দফতরের জায়গা দখলমুক্ত করতে গেলে সরাসরি মহিলা বন আধিকারিককে পেটানোর হুমকি দেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক।
এই ছবি রামনগর বিধানসভা এলাকার তাজপুরের। যে মহিলাকে শাসান অখিল গিরি, তিনি কাঁথি মহকুমা সার্কলের রেঞ্জ অফিসার মনীষা সাউ। তাঁর দাবি, তাজপুর সমুদ্র তীরবর্তী জায়গায় বন দফতরের জায়গা দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, গত ২ বছর ধরে বন দফতরের তরফে বারবার নোটিস দেওয়া হলেও, জায়গা ছাড়া তো দূরঅস্ত, নোটিসের জবাবও দিচ্ছিলেন না তাঁরা।
তাঁরা যেখানে বসেছিলেন, সেই জায়গা বর্ষার শুরুতে সমুদ্রের জলে প্লাবিত হয়ে যায়। তখন তাঁরা সেখান থেকে পিছিয়ে বনদফতরের গাছপালা কেটে ফের নতুন করে দোকান তৈরির চেষ্টা করছিলেন। সেই কাজে বাধা দেওয়াতেই এই ঘটনা। এরপরই, সেখানে আসেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও কারামন্ত্রী অখিল গিরি। প্রথমে ফোনে DFO-র সঙ্গে বচসা হয় কারামন্ত্রীর। এরপর, জবরদখল রুখতে আসা রেঞ্জ অফিসারের কথায় মেজাজ হারান মন্ত্রীমশাই! তিনি বলেন, 'ম্যাডাম শুনুন। ম্যাডাম...আপনি সবাইকে নিয়ে চলুন। বেশিদিন থাকতে পারবেন না। আপনার আয়ু ৭,৮ দিন, ১০ দিন। আমি আপনাকে বলছি। কে বিট অফিসার আমি জানি। ফরেস্টের কী কাজ হয়। কত বড় দুর্নীতি আমরা সব জানি। আমার জানি বিট অফিসারের বিরুদ্ধে কী আছে আমি জানি পাবলিকের। আমি কিন্তু ফাঁস করে দেব সব বিধানসভায়। আপনি আমাকে চেনেন না। '
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।