Bird Festival : সপ্তম বর্ষে পা, আলিপুরদুয়ারে 'বক্সা বার্ড ফেস্টিভ্যাল'-এ যোগ দিলেন রাজ্যের পক্ষী প্রেমীরা
Buxa Bird Festival : পাখি সংরক্ষণের সচেতনতা বৃদ্ধিতেই শুরু হয়েছিল 'বক্সা বার্ড-ফেস্টিভ্যাল।' যা এবার সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করল..
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : সপ্তম বর্ষে পড়ল 'বক্সা বার্ড ফেস্টিভ্যাল' (Buxa Bird Festival)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ২২ জন পক্ষী প্রেমী অংশগ্রহণ করলেন চার দিনের এই শিবিরে। জীব-বৈচিত্রের এই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে প্রায় ৫০০ পাখির সন্ধান লিপিবদ্ধ ছিল বহুদিন ধরেই। সেই পাখির বর্তমান অস্তিত্ব এবং তাঁর নতুন তালিকা তৈরির উদ্দেশ্যর পাশাপাশি পাখি সংরক্ষণের সচেতনতা বৃদ্ধিতেই শুরু হয়েছিল 'বক্সা বার্ড-ফেস্টিভ্যাল।' যা এবার সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করল।
বার্ড-ফেস্টিভ্যাল এবার রাজাভাতখাওয়া-র প্রকৃতিবিক্ষণ কেন্দ্রের পরিবর্তে আয়োজন হয় জয়ন্তিতে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২২ জন পক্ষী প্রেমী এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। গত বছর পর্যন্ত ২৫৯ টি পাখির সরাসরি পর্যবেক্ষণের সঙ্গে ছবি-সহ তালিকা পাওয়া গিয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যা এবার সেই তালিকা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই আশা উদ্যোক্তাদের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখিপ্রেমীরাও নতুন অভিজ্ঞতায় আশায় রয়েছেন।
জানা যায়, অংশগ্রহনকারীদের তিন ভাগে ভাগ করে, চারটি রুটে পাখি পর্যবেক্ষণ হবে। নদীবক্ষ, পাহাড় এবং ঘন জঙ্গলের সেই পথ অনেকটাই রোমহর্ষক। প্রতিটি রুটের আলাদা আলাদা পাখির নামে নামও রয়েছে। প্রাতঃরাশের পর অংশগ্রহণকারীরা যাবে পাখি পর্যবেক্ষণ করতে। সেখানে সব তথ্য লিপিবদ্ধ হবে। ফিরে এসে সন্ধ্যায় চলবে বিশেষজ্ঞদের ক্লাস। মাঝে দুপুরের খাবার এবং চা থাকছে। এভাবে তিনদিন চলবে এই শিবির।
আরও পড়ুন, 'স্বপ্ন সফল, কাজ পাবে বেকার-হকার..', শিয়ালদা-বালুরঘাট ট্রেনের সূচনায় মন খুললেন জেলার বাসিন্দারা
প্রসঙ্গত, রাজ্যের অপর এক জেলার, রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষী নিবাসে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা প্রতি বছর নিজের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙছে। ২০২২ সালে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯,৩৯৩। গতবছর পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ছিল ৯৮,৭৩৯। প্রতি বছর পাখির সংখ্যা বাড়ায় খুশী পশু প্রেমী সংগঠন। রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষী নিবাসে প্রতিবছর মে জুন মাসে পরিযায়ী পাখিরা বাসা বাধে। এই পক্ষীনিবাসে ওপেন বিল ষ্টর্ক, নাইট হোরেন, ইগ্রেট এবং কর্মরেন্ট মূলত এই চার ধরনের পরিযায়ী পাখি বাসা বাধে। এই পক্ষীনিবাসে পরিযায়ী পাখিরা বংশ বিস্তারের পর তারা এই বাসস্থান ছেড়ে চলে যায়। রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষী নিবাসের পাশে দিয়ে বয়ে গেছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ির শব্দে পরিযায়ী পাখিদের যাতে সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয় তার জন্য রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৎকালীন সাংসদ প্রয়াত প্রিয় রঞ্জন দাসমুন্সি এই জাতীয় সড়ককে ঘুরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন।