Anish Khan Death Update : 'যে ব্যক্তি আমার বুকে বন্দুক ঠেকিয়েছিল সে নেই' টিআই প্যারেডের পর বিস্ফোরক দাবি আনিসের বাবার
আদালতের নির্দেশে আনিসের মোবাইল ফোন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দেওয়া হয়।
![Anish Khan Death Update : 'যে ব্যক্তি আমার বুকে বন্দুক ঠেকিয়েছিল সে নেই' টিআই প্যারেডের পর বিস্ফোরক দাবি আনিসের বাবার Anish Khan Death Update Anish Father Salem Khan not said the accused was not in the TI parade gives away sons mobile Anish Khan Death Update : 'যে ব্যক্তি আমার বুকে বন্দুক ঠেকিয়েছিল সে নেই' টিআই প্যারেডের পর বিস্ফোরক দাবি আনিসের বাবার](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/02/25/078466320f774ebcb7efe8aecd89dbec_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
পার্থপ্রতিম ঘোষ, প্রকাশ সিনহা ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, আমতা (হাওড়া) : শুক্রবার রাতে যে ব্যক্তি আমার বুকে বন্দুক ঠেকিয়েছিল ধৃতদের মধ্যে সেই ব্যক্তি নেই। টিআই প্যারেডের পর বিস্ফোরক দাবি আনিসের বাবার। টিআই প্যারেডের শেষে আনিসের বাবা সালেম খান বলেন, 'উর্দি পরে যে এসেছিল সে তো নেই। যাকে আমি চিনতে পারব সে ওখানে ছিল না।'
শুক্রবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে উলুবেড়িয়া জেলে চলে টিআই প্যারেড (TI Parade) পর্ব। যেখানে আদালতের নির্দেশ মতোই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আনিস খানের মোবাইল হস্তান্তর করা হয় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে। মৃত্যুর পর ছাদ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল পুলিশকে দেওয়ার পক্ষপাতী না হলেও আদালতের নির্দেশের পর দুই সিম সমেত আনিসের ফোন হস্তান্তর করা হয় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে টিআই প্যারেড বা পরিচয় পর্বের শেষে আনিসের বাবার বিস্ফোরক দাবিতে গোটা ইস্যুতে আরও জটিল হয়ে উঠল রহস্য।
আনিস খানের মৃত্যুর (Anish Khan Death Update) জেরে ইতিমধ্যে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বাকিদেরও চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া বা টিআই প্যারেড হয় এদিন। কিন্তু সেখানে কাউকে চিনতে পারেননি বলেই দাবি করেন আনিস খানের বাবা সালেম খান। গত কয়েকদিনে যিনি বারবার বলেছেন, যিনি তাঁকে গানপয়েন্টে দাঁড় করিয়েছিলেন, তাঁকে দেখলেই চিনতে পারবেন। শুক্রবার রাতে পুলিশের উর্দি পরে একজন আনিসের বাড়ি গিয়ে সালেম খানকে গানপয়েন্টে আটকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। বাকি সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাকে তিনজন উঠে গিয়েছিলেন ওপরে। যার কিছুক্ষণের মধ্যে ওপর থেকে কিছু একটা নিচে পড়ার শব্দ পাওয়া যায়। সালেম দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আনিস।
এদিন উলুবেড়িয়া উপ সংশোধনাগারে আনিসের বাবার যাওয়ার নিয়ে দিনভর চলে টানাপোড়েন। দুপুরে সিটের দুই প্রতিনিধি আনিসের বাবাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এলেও, তাঁরা প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। শেষপর্যন্ত আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনার পর, উলুবেড়িয়া সংশোধনাগারের উদ্দেশে রওনা দেন আনিসের বাবা। আদালতের নির্দেশে আনিসের মোবাইল ফোন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর টিআই প্যারেডের পর আনিসের বাবার বক্তব্যের জেরে সব মিলিয়ে আনিস খুনের সাত দিন পরেও কাটছে না রহস্য।
আরও পড়ুন- 'আনিসও ইনসাফ পাক, আমার ছেলেও ইনসাফ পাক' পুত্রহারা বাবাকে ফোন রিজওয়ানুরের মায়ের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)