Anubrata Mondal: হিন্দি-ইংরেজি জানেন না, লিখতে পারবেন না বাংলায়, ইডি-কে জানালেন অনুব্রত
Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আর সেখানেই ফের অনুব্রতকে নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য সামনে এল।
কলকাতা: প্রায় সাত হতে চলল জেলবন্দি রয়েছেন। গরুপাচার মামলায় নিত্যনতুন তথ্যও উঠে আসছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে কখনও চালকলের হদিশ মিলেছে, কখনও আবার কোটি কোটি টাকার শতাধিক সম্পত্তির হদিশও পাওয়া গিয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। কিন্তু তদন্তকারীদের প্রশ্নের কোনও উত্তরই এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) দেননি। বরং জানেন না, মনে নেই বলেই সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। দিল্লিতেও সেই রীতি বজায় রাখলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। জানালেন, হিন্দি, ইংরেজিতে লিখতে জানেন না। লিখতে পারবেন না বাংলাতেও (Cattle Smuggling Case)।
অনুব্রতর জন্য রাইটারের ব্যবস্থা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা
গরুপাচার মামলায় দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আর সেখানেই ফের অনুব্রতকে নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন প্রশ্নের উত্তর খাতায় লিখতে বলা হয় অনুব্রতকে। কিন্তু অনুব্রত জানিয়ে দেন, তিনি হিন্দি, ইংরেজি লিখতে জানেন না। লিখতে পারবেন না বাংলাও। এর পর অনুব্রতর জন্য রাইটারের ব্যবস্থা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। অনুব্রতর হয়ে ইডি-র প্রশ্নের জবাব লেখেন সেই লেখকই।
অনুব্রতর জিজ্ঞাসাবাদপর্ব এবং তাঁর লিখতে না চাওয়ার মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি করেছে ইডি। আগাগোড়া ভিডিওগ্রাফি হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছে। তাই তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনার পাশাপাশি, জেরা-পর্বে নিজের হাতে লিখতে না চাওয়ার বিষয়টিও আদালতে জানানো হবে ইডি-র তরফে।
বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত। একাহাতে এতদিন তৃণমূলের জন্য জেলা সামলে রেখেছিলেন তিনি। তবে অনুব্রত উত্থানের কাহিনিও চমকপ্রদই। প্রথম জীবনে বাবার মুদিখানার দোকানে বসা থেকে বাজারে মাছ বিক্রি, তার পর মমতার ছত্রছায়ায় আসা, অনুব্রতকে নিয়ে এমন বিস্তর কথা শোনা যায়। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে তিনি আর স্কুলে যাননি, এমনও জানা যায়। তাই হিন্দি এবং ইংরেজিতে সড়গড় না হলেও, বাংলা লিখতে না পারার কারণ নেই। কেন কেষ্ট হাতে লিখতে রাজি হলেন না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তদন্তে অসহযোগিতা করতেই অনুব্রতর এমন আচরণ বলে ধারণা ইডি-র।
ছ'দিনে সাড়ে ছ'কোটি টাকার সম্পত্তি নগদে কেনেন অনুব্রত!
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত অনুব্রতর পাশেই রয়েছে দল। যদিও নিত্যনতুন তথ্য উঠে আসছে মমতার স্নেহভাজন কেষ্টকে নিয়ে। ইডি সূত্রে দাবি, ছ'দিনে সাড়ে ছ'কোটি টাকার সম্পত্তি নগদে কেনেন অনুব্রত। গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করতে স্ত্রী, মেয়ে তো বটেই সহযোগী, আত্মীয়দের জন্য সবমিলিয়ে অনুব্রত ১২১ সম্পত্তি কিনেছিলেন বলে সন্দেহ ইডি-র।