Babul on Jay Prakash: ‘বাংলায় ঢোকার সাহসই নেই কয়েক জনের’, জয়প্রকাশকে স্বাগত জানিয়ে ‘কূপমণ্ডূক’দের নিশানা বাবুলের
Babul on Jay Prakash: মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে জোড়াফুল পতাকা হাতে তুলে নেন জয়প্রকাশ।
কলকাতা: সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি আগে এসেছিলেন। তার পর থেকে একে একে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) এসে উঠছেন অনেকেই। তাতে নয়া সংযোজন জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar)। তাঁর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা অধুনা তৃণমূল বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। জয়প্রকাশ এতদিনে সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন মলে মন্তব্য করলেন তিনি।
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর এবং তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে জোড়াফুল পতাকা হাতে তুলে নেন জয়প্রকাশ। সেখানে তাঁকে দলের রাজ্য সহ সভাপতিও নিযুক্ত করেন মমতা। তা নিয়ে বিজেপি-র (BJP) অন্দরে যখন তোলপাড়, সেই সময় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে জয়প্রকাশকে তৃণমূলে স্বাগত জানান বাবুল।
যাক!! জয়প্রকাশদা এতদিনে এটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন•ওনাকে আমার অভিনন্দন💐বাংলার জন্য কাজ করতে গেলে, বাংলার মানুষ যাঁকে তর্কাতীতভাবে নিজেরদের নেত্রী হিসেবে সন্মান ও ভালোবাসা দিয়েছেন, সেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী @MamataOfficial @AITCofficial সঙ্গেই পরিশ্রম করতে হবে @abhishekaitc
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) March 8, 2022
এ দিন টুইটারে বাবুল লেখেন, ‘যাক!! জয়প্রকাশদা এতদিনে একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন। ওঁকে আমার আভিনন্দন। বাংলার জন্য কাজ করতে গেলে, বাংলার মানুষ যাঁকে তর্কাতীত ভাবে নিজেদের নেত্রী হিসেবে সম্মান ও ভালবাসা দিয়েছেন, সেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই পরিশ্রম করতে হবে’।
সিনিয়র নেতা জয়প্রকাশদার সঙ্গেও তাই হয়েছে•বাংলার 'plain'এ কোনোদিন না নেমে, বাংলার মানুষের সাথে না মিশে, 'প্লেনে' চড়ে এসে, বাংলা নিয়ে যাঁরা বড় বড় ভাষণ দেন, তাদের নাম মাননীয় মহাশয় শ্রীমান @tathagata2 দাদাবাবুর টুইটে খুঁজে পাবেন•মানুষ ও বাংলা তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে !
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) March 8, 2022
জয়প্রকাশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিজেপি ‘জীবাণুমুক্ত’ হয়েছে বলে এ দিন কটাক্ষ করেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননদের কটাক্ষ করেন তিনি, যাঁরা কি না বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি-র বৈতরণী পারের দায়িত্বে ছিলেন। একই সঙ্গে জয়প্রকাশ, বাবুলরা বিজেপি থেকে বিদায় নেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশও করেন তিনি।
কয়েকজনের তো লজ্জায় বাংলায় ঢোকারই সাহস নেই 😀যাইহোক, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাবো জয়প্রকাশদাকে সম্মানের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগত জানানোর জন্য•আগামী দিনে যাঁদের আত্মসম্মান ও সত্য কথা বলার সাহস আছে, তাঁরাও একে একে বিজেপির কুপমুন্ডকদের সংশ্রব ত্যাগ করবেন•Amen
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) March 8, 2022
বাবুল যদিও তথাগতর ওই টুইট হাতিয়ার করেই বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করেন। তিনি লেখেন, ‘কয়েক জনের তো লজ্জায় বাংলায় ঢোকার সাহসই নেই। যাই হোক, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাব জয়প্রকাশদাকে সম্মানের সঙ্গে তৃণমূলে স্বাগত জানানোর জন্য। আগামী দিনে যাঁদের আত্মসম্মান এবং সত্য কথা বলার সাহস রয়েছে, তাঁরাও একে একে বিজেপি-র কূপমণ্ডূকদের সংস্রব ত্যাগ করবেন...যাঁরা বাংলার মাটিতে না নেমে, বাংলার মানুষের সঙ্গে না মিশে, বিমানে চেপে এসে বড় বড় ভাষণ দেন, তাঁদের নাম শ্রীমাম তথাগত রায় দাদাবাবুর টুইটায়ে খুঁজে পাবেন’।
বিধানসভা থেকে পুরসভা নির্বাচন এবং সর্বোপরি বিজেপি-র রাজ্য কমিটির রদবদল, একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের উপর বেশ কিছু দিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিলেন জয়প্রকাশ।প্রকাশ্যে তা নিয়ে মুখো ওখুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তার জেরে সম্প্রতি বিজেপি থেকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয় জয়প্রকাশকে। সেই নিয়ে টানাপোড়েন চলাকালীনই এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন জয়প্রকাশ।