Bangladeshi Arrest: নেই বৈধ পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট, এবার শিয়ালদা স্টেশন থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি মহিলা
Sealdah News: শিয়ালদা স্টেশন থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশের মহিলা। গতকাল রাতে স্টেশন চত্বরে ঘোরাফেরা করায় সন্দেহ হয় এন্টালি থানার পুলিশের।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: এবার শিয়ালদা স্টেশন থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি (Bangladeshi Arrest) মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও বৈধ পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট দেখাতে পারেননি। কীভাবে, কাদের সাহায্য়ে অনুপ্রবেশ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গ্রেফতার বাংলাদেশি মহিলা: কখনও মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি তো কখনও উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা; গত কয়েকদিনে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এবার একেবারে খাস শিয়ালদা স্টেশন চত্বর থেকে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়া এক তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পুলিশের চিন্তা বাড়িয়েছে ধৃত অনুপ্রবেশকারীর বারবার বয়ানবদল। সূত্রের খবর, গত দু'এক দিন ধরেই শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন এই তরুণী। শনিবার একইভাবে তাঁকে NRS হাসপাতাল চত্বরের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। এরপর রাত ৮টা নাগাদ প্রথমে তাঁকে আটক করে এন্টালি থানার পুলিশ। সূত্রের দাবি, ধৃত বেবি বিশ্বাসের বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল জেলার পাথরঘাটা থানার নাচনপাড়া মল্লিকখালি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আলমগির খান। ভারতে আসার পাসপোর্ট, ভিসা বা কোনওরকম বৈধ নথি ধৃতের থেকে মেলেনি। তাহলে কীভাবে ভারতে ঢুকে পড়লেন বাংলাদেশের এই তরুণী? পুলিশ সূত্র বলছে, ধৃত তরুণীকে জেরা করে জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে আবদুল শেখ নামে এক আত্মীয়ের সঙ্গে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকে পড়েন তিনি।
কিন্তু কতদিন আগে? তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে ধন্ধ! পুলিশ সূত্রে দাবি, বারবার বয়ান বদল করছেন ধৃত। কখনও বলছেন মাত্র ৩ দিন আগে তিনি ভারতে এসেছেন। কখনও সেটা বেড়ে ১২ দিন হচ্ছে। আবার কখনও চাঞ্চল্যকর বয়ান দিয়ে বলছেন, আজ থেকে তিন মাস আগে তিনি ভারতে ঢোকেন। এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় মুম্বইয়ে চলে যান এই তরুণী। সেখানে গিয়ে পরিচারিকার কাজও শুরু করেন। কিন্তু সেখানে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের খুঁজে বের করার ধরপাকড় শুরু হতেই ধরা পড়ার ভয়ে ফের ট্রেনে চেপে মুম্বই থেকে হাওড়ায় চলে আসেন। আবদুল শেখ নামে যে আত্মীয়ের সঙ্গে ধৃত তরুণী ভারতে প্রবেশ করেন, সেই আত্মীয় কোথায়? কী তাঁর পরিচয়? সে কি ভারতীয় না বাংলাদেশের নাগরিক? সে এখন কোথায়? মুম্বই কি স্রেফ কাজের উদ্দেশ্যেই গিয়েছিলেন তরুণী? তাহলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছেন কেন? এখন এসব প্রশ্নের উত্তরই খুঁজে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এদিন শিয়ালদা কোর্টে তোলা হলে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: Malda TMC Leader Death: এখনও অধরা মালদাকাণ্ডে আরও ২ অভিযুক্ত, 'মাথার দাম' ঘোষণা পুলিশের