Pakistan Man Arrested: বাংলাদেশি সন্দেহে বিরাটিতে গ্রেফতার, আদতে পাক নাগরিক! হাতে কোটি কোটি টাকা
জাল পাসপোর্ট মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার আজাদ মল্লিক। বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া আজাদ আদতে পাক-নাগরিক।

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ফুটছে রক্ত, জবাব পাবেই। পাকিস্তানকে মোদির হুঙ্কারের পরেই নির্দেশের অপেক্ষায় সেনা! হাতে আসছে আরও রাফাল, সুইডিশ রকেট লঞ্চার। কাশ্মীরে হত্যাকারী জঙ্গিদের খোঁজে অল আউট অ্যাকশনে সেনা। এই আবহে এবার বাংলাদেশি সন্দেহে বিরাটিতে গ্রেফতার, আদতে সে পাকিস্তানের নাগরিক এমনটাই খবর।
জাল পাসপোর্ট মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার আজাদ মল্লিক। বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া আজাদ আদতে পাক-নাগরিক। ২০১৯-এ বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেছিল সে। এরপর বাংলায় ঢুকে জোড়া ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সও পেয়ে যায়। এখন প্রশ্ন উঠছে, পাক নাগরিক, তাও কীভাবে বাংলায় ঢুকে এত সরকারি পরিচয়পত্র? কীভাবে ধৃত আজাদের কাছে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা? কী উদ্দেশ্যে ভারতে ঢুকেছিল পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক? তথ্যের খোঁজে ফের আজাদের জেরা চায় ইডি, ৮দিনের হেফাজত।
আজাদ প্রসঙ্গ
ED সূত্রে দাবি, বিরাটি থেকে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে অভিযুক্ত আজাদ মল্লিককের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন ED আধিকারিকরা। ED সূত্রে দাবি, বিভিন্ন সময়ে অ্যাকাউন্টগুলিতে মোট ৬০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই সেগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই টাকার উৎস কী? পাসপোর্ট জালিয়াতি বা বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে এই টাকা ঢুকেছে কিনা, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আজাদকে।
লোকদেখানো আমদানি-রফতানি ও মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসার আড়ালে চলত হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার। বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য জাল নথি দিয়ে বানিয়ে দেওয়া হত ভারতীয় পরিচয়পত্র। নথি জালিয়াতি-নেটওয়ার্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বিরাটি থেকে ধৃত বাংলাদেশের বাসিন্দা আজাদ মল্লিকের। অনুপ্রবেশ এবং পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় চাঞ্চল্যকর দাবি করল ED।
আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, আজাদের স্ত্রী ও ছেলে বাংলাদেশের খুলনায় থাকে। ৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। টাকার উৎস কী? কেন টাকা দেওয়া হয়েছিল? নেপথ্যে কারা? পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় এবার মানি ট্রেল খুঁজে বের করতে চাইছে ED.
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, এর আগে ২০২২ সালে এয়ারপোর্ট থানার মামলায় ফরেনার্স অ্যাক্টে গ্রেফতার হয় আজাদ। গতকাল তার বাড়ি থেকে এ রাজ্যের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট উদ্ধার হয়। আজাদের দাবি, গত ১০ বছর ধরে সে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।






















