Bankura : সময় বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার ! মেজিয়ার ভগ্নপ্রায় মাতাবেল সেতু ঘিরে রাজনৈতিক তরজা
বর্ষায় ভেঙে গিয়েছে বাঁকুড়ার মেজিয়ায় মাতাবেল সেতুর একাংশ। ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
প্রসূন চক্রবর্তী ও পূর্ণেন্দু সিংহ, মেজিয়া(বাঁকুড়া) : বর্ষায় ভেঙে গিয়েছে বাঁকুড়ার মেজিয়ায় মাতাবেল সেতুর একাংশ। ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অভিযোগ, প্রশাসনের নিষেধ সত্ত্বেও ভারী যান চলাচলে বাড়ছে ঝুঁকি। শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। সেতু সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
বর্ষা এলেই ফুঁসে ওঠা নদী বয়ে যায় সেতুর ওপর দিয়ে। এবার জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে সেতুর একাংশ। ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বোর্ড লাগিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করেই চলছে ভারী যানবাহন। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এলাকার বাসিন্দারা। এ ছবি বাঁকুড়ার মেজিয়ার মাতাবেল সেতুর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’মাস আগে সেতুর একাংশ ভেঙে গেলেও মেরামত করা হয়নি। হরিসাধন মণ্ডল নামে এক বাসিন্দা বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় অসুবিধে হয়। দু-তিন দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এখন সেতু ভেঙেছে। সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।
মেজিয়া থেকে বাঁকুড়া শহর হয়ে ছাতনার দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। কিন্তু মাতাবেল সেতু দিয়ে মেজিয়া থেকে ছাতনার দূরত্ব মাত্র ৩২ কিলোমিটার। ফলে, এই সেতু এলাকার মানুষের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সময় বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়েই চলছে সেতু পারাপার। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা।
মেজিয়ার বিজেপি নেতা মিঠুন পাণ্ডে বলেন, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সরকার ৫০০ টাকা করে দিয়ে বেড়াচ্ছে। ব্রিজ সংস্কার হচ্ছে না।
অন্যদিকে মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ও তৃণমূল নেতা রবি গোপ বলেন, বিজেপি এরকম বলে বেড়ায়। উন্নয়ন হচ্ছে দুয়ারে সরকার তার প্রমাণ। সেতু নিয়ে মিটিং হয়েছে। কাজ দ্রুত হবে।
রাজনৈতিক তরজা নয়, বাসিন্দারা চাইছেন সেতু সমস্যার স্থায়ী সমাধান। এই পরিস্থিতিতে মেজিয়ার বিডিওর আশ্বাস, দ্রুত সেতুর সংস্কার হবে। ভারী যান চলাচল রুখতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।