Bankura News: কাগজে কলমে 'মৃত', ৪ বছর ধরে বার্ধক্য ভাতা বন্ধ বাঁকুড়ার বাসিন্দার
Old Age Allowance Allegation:কাগজে কলমে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ৪ বছর ধরে বার্ধক্য ভাতা বন্ধ বাঁকুড়ার বাসিন্দার , এদিকে এখনও জলজ্যান্ত ঘুরে ফিরে বেড়ান বাঁকুড়ার এই বাসিন্দা..
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বয়স আশি ছুঁয়েছে। কিন্তু এখনও জলজ্যান্ত ঘুরে ফিরে বেড়ান বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের কানাকাটা গ্রামের নজর আলি খান। কিন্তু কাগজে কলমে তাঁর মৃত্যু হয়েছে চার বছর আগেই। অতএব বন্ধ হয়ে গেছে বার্ধক্য ভাতা। চূড়ান্ত অসহায়তার মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন কানাকাটার নজর আলি খান।
দফতরে দফতরে ঘুরেও নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে পারেননি নজর আলি খান
দফতরে দফতরে ঘুরেও নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে পারেননি নজর আলি খান । বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের কানাকাটা গ্রামের বছর আশির বাসিন্দা নজর আলি খান আর পাঁচ জন উপভোক্তার মতোই সরকারী বার্ধক্য ভাতা পেতেন। মাসিক এক হাজার টাকা ভাতায় কিছুটা হলেও সুরাহা হয়েছিল অভাবের সংসারে। কিন্তু ২০২০ সালে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় তাঁর ভাতা।খোঁজ খবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন কাগজে কলমে তিনি আর বেঁচে নেই।
বেঁচে থেকেও 'মৃত', মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে নজর আলি খানের
এমন ঘটনায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে নজর আলি খানের। নিজে জীবিত আছেন তা প্রমাণ করতে এরপর শুরু হয় তাঁর বিভিন্ন দফতরে ছোটাছুটি। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিডিও অফিস বারেবারে তিনি ছুটে গেছেন। বারেবারে আবেদন জানিয়েছেন দুয়ারে সরকার শিবিরেও। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই এক দফতর অপর দফতরের ঘাড়ে দোষ ঠেলে নজর আলি খানকে জানিয়ে দিয়েছে, তিনি কাগজে কলমে মৃত। অগত্যা চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বার্ধক্য ভাতা।
কোনও একটি সমস্যা হয়েছে, দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে : স্থানীয় বিডিও
নিদারুণ দারিদ্রে কাটছে তাঁর সংসার। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে নজর আলি খান প্রমাণ করবেন যে তিনি জীবিত? এই ঘটনার জন্য বিরোধীরা দুষছে খোদ শাসক দল ও প্রশাসনকেই। শাসক দল ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বিষয়টি জানে না তা নয়। কিন্তু শাসক দল ও স্থানীয় সিমলাপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের দাবি, এটা আসলে একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। যত দ্রুত সম্ভব সেই ভুল সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় বিডিও জানিয়েছেন, কোনও একটি সমস্যা হয়েছে। দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন, মিড ডে মিলে পাতে শুধু সাদা ভাত, ডাল-সবজি-ডিম ভ্যানিশ !
প্রসঙ্গত, এর আগেও যে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি, তা বললে হয়তো ভুল বলা হবে। প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও রাজ্যে এর আগে ভুয়ো ভোটারের কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। সল্টলেক এলাকায় মৃত্যুর পরেও এক ব্যক্তির নামে পড়েছিল ভোট। খতিয়ে দেখতেই প্রকাশ্যে এসেছিল সেই বিস্ফোরক তথ্য। আর এবার বেঁচে থেকেও নিজেকে 'জীবিত' প্রমাণ করতে হচ্ছে এই রাজ্যেরই বাসিন্দাকে।