Bengal SIR Row : 'গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে কমিশন...'! SIR আবহে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর !
Bengal SIR Row Suvendu On Bangladeshi: SIR নিয়ে 'কার্বলিক অ্যাসিড' কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর

বিটন চক্রবর্তী, সৌরভ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: SIR নিয়ে 'কার্বলিক অ্যাসিড' কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর। 'গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে কমিশন। কার্বলিক অ্যাসিড ঢালার পর সাপগুলো বেরিয়ে পড়েছে। প্রায় ২০%-২৫% বাংলাদেশি মুসলিম রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছে', 8 তারিখের আগে বাংলাদেশিরা পালাও, হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর।
শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির ট্র্যাপে পা দিয়ে ইলেকশন কমিশন চলছে। পরশু থেকে দরজায় দরজায় পৌঁছে যাবেন বিএলও-রা। বাড়ি বাড়ি শুরু হয়ে যাবে এনুমারেশন ফর্ম বিলি। তার আগে SIR নিয়ে রাজনীতির পারদ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। এবার আরও একধাপ এগিয়ে কটাক্ষের সুরে তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আতঙ্ক না হলে ১২টা রাজ্যে হচ্ছে। স্ট্যালিন সাহেবের স্টেটে হচ্ছে। শুধু বিজেপি রুল নয়, নন বিজেপি স্টেটেও হচ্ছে। কোথাও হইচই নেই। কোথাও মিটিং নেই, মিছিল নেই, গেল গেল রব নেই। একমাত্র এখানে মানে বুঝতে পারছেন, গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিলে সাপ বেরোয় না, ইলেকশন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে। সাপগুলো এখন বেরোচ্ছে। এটাই তো প্রকৃত দৃশ্য। শ্রীরামপুর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজকে বিজেপির ট্র্যাপে পা দিয়ে ইলেকশন কমিশন চলছে। গ্রাউন্ড রিয়ালিটি কেউ কিছু বুঝতে পারছে না। অপদার্থ বিজেপির নেতারা, যাদের কিছু নেই গ্রাউন্ড লেভেলে। যারা নির্বাচন করতে চাইছে ইলেকশন কমিশন, CBI তারপরে বিভিন্ন অর্গানাইজেশন দিয়ে।অনেক কনস্টিটিউশনাল অর্গানাইজেশনের আশীর্বাদ নিয়ে। লাভ তো কিছু হবে না। ৩০টা সিটও পাবে না।
একদিকে যখন SIR নিয়ে কমিশন ও বিজেপির যোগসাজশের অভিযোগ করছে তৃণমূল, অন্যদিকে বুথের সংখ্যাবৃদ্ধি করা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে তারা। এক্ষেত্রেও কমিশন-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ তুলছে ঘাসফুল শিবির। শ্রীরামপুর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যদি ২০০২ সাল বেস লেভেল হয়ে থাকে, সেই ভিত্তিতে যদি এগুলো থাকে, তাহলে আজকে ২০২৫-এর জানুয়ারিকে বেস লেভেল করে কেন বুথ বাড়ানো হল? ২০২৫-এর জানুয়ারির ভোটার লিস্ট মেনে যদি আজকে বুথ বাড়ানো হয়, তাহলে ২০২৫-এর জানুয়ারি পর্যন্ত যা যা ভোটার লিস্ট আছে, তাকে মান্যতা দিতে হবে। এটা একটা সিম্পল সাইলেন্ট রিগিং। বাই দ্য বিজেপি, থ্রু দ্য ইলেকশন কমিশন।
এদিনই আবার যাদবপুরের বিভিন্ন এলাকায় SIR নিয়ে ভোটারদের সচেতন করতে ক্যাম্প করা হল সিপিএমের তরফে। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, গরিব মানুষ সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়বেন এই SIR এর কারণে। কারণ তাদের কাছে কাগজ কম আছে। এবং এটাই বিজেপির উদ্দেশ্য নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পূরণ করছে। সব মিলিয়ে, বঙ্গে ভোট আসার অনেক আগেই ভোটার দামামা বাজিয়ে দিয়েছে SIR.






















