Speaker On Governor: এরপর নিজে থেকে রাজ্যপাল বিধানসভায় আসতে চাইলে কারণ জানতে চাইব, কড়া বার্তা অধ্যক্ষের
Biman Banerjee On Governor Jagdeep Dhankhar: মঙ্গলবার বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, কড়া বার্তা এল বিধানসভার অধ্যক্ষের তরফে
কলকাতা: বিধানসভায় (Assembly) বেনজির সংঘাত। কড়া অবস্থান নিলেন অধ্যক্ষ (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banejee)। এদিন বলেছেন, ভবিষ্যতে রাজ্যপাল (Governor) স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিধানসভায় আসতে চাইলে আগে কারণ জানতে চাইব। সেখানে ওনার কী ভূমিকা হবে।
মঙ্গলবার বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, কড়া বার্তা এল বিধানসভার অধ্যক্ষের তরফে। তিনি বলেছেন, ‘এবার রাজ্যপাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিধানসভায় আসতে চাইলে কারণ জানতে চাওয়া হবে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে মঙ্গলবার অম্বেডকরের মূর্তিতে মাল্যদান করতে বিধানসভায় এসেছিলেন জগদীপ ধনকড়। এরপর বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়েই, অধ্যক্ষকে বেনজির আক্রমণ করেন তিনি। বলেছিলেন, অধ্যক্ষ মনে করেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা খুশি বলার অধিকার তাঁর আছে। তিনি কি নিজেকেই আইন ভাবছেন? আমি এসব অনাচার বরদাস্ত করব না। অধ্যক্ষ যেন এরপর গর্ভনরের ভাষণ ব্ল্যাক আউট না করেন। তাহলে আইনের মোকাবিলা করতে হবে তাঁকে।
রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকেও জোরাল ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। এর পাল্টা রাজ্যপালের সমালোচনা করেছিলেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যপাল এখানে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি যে এই মঞ্চকে সাংবাদিক বৈঠকের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করবেন, তা জানা ছিল না। তাঁর এই আচরণ অবাঞ্ছিত ও অসৌজন্যতামূলক। যে কোনও প্রোটোকল ও রীতিনীতির বাইরে।
এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যপালের কিছু সাংবিধানিক বাধ্যবাকতা রয়েছে। তাঁকে বিধানসভায় আসতেই হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে রাজ্যপাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিধানসভায় আসতে চাইলে আগে কারণ জানতে চাইব।
অধ্যক্ষের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, অধ্যক্ষ পদ একটি সাংবিধানিক পদ। কিন্তু অধ্যক্ষর মতো আচরণ না করে রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বেঁধেছে। গতকাল বিধানসভার ঘটনার তার রেশ গড়াল রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে। রাজ্যপালের মুখোমুখি হয়ে সৌজন্য দেখালেও আগাগোড়া কাঠিন্য বজায় রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে প্রতি নমস্কার জানালেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণে দেখা গেল না আন্তরিকতা। রাজ্যপাল তাঁর কাছে না আসা পর্যন্ত চেয়ার ছেড়ে ওঠেননি মুখ্যমন্ত্রী। বিদায় পর্বেও দেখা গেল একই ছবি।