Bipin Rawat Demise: জেনারেল রাওয়াত আবিষ্কারের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, স্মৃতি উস্কে নয়া শঙ্কা হলদিয়ার বিজ্ঞানীর
East Midnapore News:বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যুর খবর পেয়ে কেঁপে উঠেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসিন্দা অধ্যাপক-বিজ্ঞানী অনির্বাণ দাস।রাওয়াতের হাত থেকে নিজের আবিষ্কারের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন হলদিয়ার বাসিন্দা অধ্যাপক অনির্বাণ দাস (Anirban Das)। সিয়াচেনে ব্যবহারের উপযোগী তাঁর তৈরি বিশেষ জুতোকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ।
দাউ দাউ করে জ্বলছে ভেঙে পড়া হেলিকপ্টার। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। বুধবার এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কেঁপে উঠেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) হলদিয়ার বাসিন্দা অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী অনির্বাণ দাসও। কারণ গত ২৭ অগাস্ট দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (Chief of Defense Staff) জেনারেল বিপিন রাওয়াতের হাত থেকে নিজের আবিষ্কারের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। এবার কী হবে? তাঁর আবিষ্কার সেনা বাহিনীতে ব্যবহৃত হবে তো? দানা বাঁধছে আশঙ্কা।
সিয়াচেন। চারদিকে বরফে ঢাকা পাহাড়। তাপমাত্রা কখনও মাইনাস তিরিশ, কখনও চল্লিশ। কলকাতার ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যন্ড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক অনির্বাণ দাসের দাবি, সিয়াচেনের মতো জায়গায় মোতায়েন থাকা জওয়ানদের জন্য বিশেষ জুতো তৈরি করেছেন তিনি ও তাঁর পাঁচ পড়ুয়া। জুতোর নাম রাখা হয়েছে, কেয়ার ফ্রি সোল। রোবোটিক সেন্সর টেকনোলজি কাজে লাগিয়ে অল্প খরচে তৈরি এই জুতো মাইনাস ৫৭ ডিগ্রিতেও মৃদু কম্পন ও তাপশক্তি তৈরি করে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে পারে। অনির্বাণের দাবি, তাঁর তৈরি জুতোর কথা শুনে দিল্লির এক অনুষ্ঠানে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন রাওয়াত।
ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী অনির্বাণ দাস বলেন, যেসময়টা উনি আমাদের প্রোজেক্টটা ভিসিট করেছিলেন, উনি উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। উনি খুশি হয়েছিলেন। আমাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছিলেন। উনি নেই, ভাবতেই পারছি না। ওনাকে দেখে অনুপ্রাণিত।
বিজ্ঞানীর দাবি, সেনাবাহিনীতে এই বিশেষ জুতো ব্যবহারের আশ্বাসও দিয়েছিলেন রাওয়াত। অধ্যাপকের কথায়, আমাদের ভীষণ ইচ্ছে ছিল কাজটা নিয়ে এগোনোর। এখন কী হয়, সেটাই দেখার। প্রোজেক্টটা এখন কোনদিকে যাবে উদ্বেগের বিষয়। আর কাজে লাগানো হবে কীনা সন্দিহান। ভবিষ্যতে আবারও দেখা করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু তা আর হল না। হলদিয়ার বিজ্ঞানী চান, তাঁর আবিষ্কার কাজে লাগুক সেনা বাহিনীর।