Bolpur Murder Case: কীভাবে খুন? অস্ত্র এল কোথা থেকে? ধোঁয়াশা কাটিয়ে উত্তরের খোঁজে পুলিশ
Birbhum News: জমছে একের পর এক প্রশ্ন, যার উত্তর খুঁজতে মরিয়া তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন। বীরভূমের ইলামবাজারে নারকীয় এই ঘটনার পর যত সময় যাচ্ছে, ততই যেন তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা। জমছে একের পর এক প্রশ্ন, যার উত্তর খুঁজতে মরিয়া তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃত শেখ সলমনকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র নিয়ে। সূত্রের খবর, আগে থেকেই নাকি খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। খুনের দিন সকালে ওই ছুরিটি কিনেছিলেন অভিযুক্ত। কোথা থেকে ওই ছুরিটি কেনা হয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে সেটারই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। সেই উত্তর পেতে জেরা চলছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ইলামবাজারে ছাত্র খুনের ঘটনায় ধৃত শেখ সলমনের দাবি, ঘটনার দিন সকালে দুবরাজপুরের সূচনা মার্কেটের একটি দোকান থেকে ছুরিটি কিনেছিলেন তিনি। তথ্য মেলাতে, মঙ্গলবার সকালে ধৃতকে নিয়ে সেই দোকানে যান তদন্তকারীরা। কিন্তু সূত্রের খবর, ওই দোকানের মালিক ভজন শর্মা জানিয়েছেন ওই ছুরিটি তাঁর দোকানের নয়। এর ফলে ধৃতের বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দোকানদার দাবি ঠিক হলে, কোথা থেকে ছুরিটি কিনেছিলেন শেখ সলমন?
প্রশ্ন উঠছে:
তাহলে কি মিথ্যে কথা বলছেন শেখ সলমন? কাউকে কি আড়াল করতে চাইছেন অভিযুক্ত? ছাত্র খুনে কি আরও কেউ জড়িত?
আগে যা ঘটেছে:
শনিবার গভীর রাতে ইলামবাজারের ধল্লার জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় পলিটেকনিক ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিনের রক্তাক্ত দেহ। সেদিনই ভোররাতে ইলামবাজার থেকে অভিযুক্ত, মৃতের বন্ধু শেখ সলমনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তারপর ধৃতকে দফায় দফায় জেরা করা হয়। সূত্রের খবর, খুনের কথা স্বীকার করলেও উত্তর মেলেনি একাধিক প্রশ্নের।
কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ:
- খুনের দিন কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন অভিযুক্ত?
- কী কী করেছিলেন অভিযুক্ত?
- কোথা থেকে অস্ত্র পেয়েছিলেন?
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন সাতেক আগে, সলমন দুবরাজপুরের সূচনা মার্কেটের দোকানে তাঁর দুটি মোবাইল ফোন সারাতে দেন। এদিন ধৃতকে সেই দোকানে নিয়ে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুটার উদ্ধার করা হয়েছিল। সেটি যে মোটরবাইক শোরুম থেকে কিনেছিলেন অভিযুক্ত, মঙ্গলবার সেই শোরুমে ধৃতকে নিয়ে যায় পুলিশ। সূত্রের খবর, খুনের উদ্দেশ্যে ইলামবাজার যাওয়ার আগে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কে একটি দোকানে চা খান অভিযুক্ত। সেই দোকানের মালিক শেখ সাজিবুর পুলিশকে জানান, সেদিন সলমন একাই তাঁর দোকানে এসেছিলেন।
কী ঘটনা ঘটেছিল? একা কীভাবে এই খুন করেছিলেন শেখ সলমন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বর্ধমানে ধুন্ধুমারকাণ্ডে গ্রেফতার সমস্ত সিপিএম নেতা-কর্মীর জামিন