Dubrajpur Incident: দুবরাজপুর বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার TMC কর্মীর ছেলে, ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
Dubrajpur Incident Update: দুবরাজপুর বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলকর্মীর ছেলে। দুবরাজপুর বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩।
বীরভূম: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে বড় প্রশ্ন তুলেছে 'বিস্ফোরণ' ইস্যু (Blast)। আগেই এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। তবে এখনও শুধু এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডেই থেমে নেই, এগরা, বজবজের পর দুবরাজপুরেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নবাণের মুখে শাসকদল। আর এমনই এক 'বারুদ' বিতর্কের ঝড়ের মাঝেই দুবরাজপুর বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলকর্মীর ছেলে। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, দুবরাজপুর বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩।
প্রসঙ্গত, প্রথমে এগরা, তারপর বজবজ, আর এবার দুবরাজপুর। গত কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যের তিন জায়গায় বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বাড়িতে মজুত বোমা থেকেই বিস্ফোরণ হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলকর্মীর বাড়িতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় তৃণমূল কর্মীর বাড়ির একাংশ। জানা গিয়েছে, সিঁড়ির নীচে রাখা বোমা থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
গত মঙ্গলবার, ঘড়ির কাটায় তখন সবে সকাল ১১ টা। ঠিক এমনই সময়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, পুকুরের পাশেই একটি বাড়িতে ছিল ২ টি ঘর। সেখানেই ছিল বেআইনি বাজি কারখানা। এই বাড়ির একটি ঘরেই বিস্ফোরণ হয়। দেহ ছিটকে গিয়ে পড়ে পুকুরে। ২ টি পুকুরেই দেহের খোঁজে চলে তল্লাশি। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা বাড়ি। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, শুধু কাঠামোটুকু ছাড়া সেই বাড়িতে অবশিষ্ট নেই আর কিছুই। খাদিকুল গ্রামে যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখান থেকে এগরা থানার দূরত্ব কমবেশি ২২কিলোমিটার। এগরা দমকল কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। ঘটনাস্থল থেকে গোপীনাথপুরে মূল রাস্তার দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
এর পরপরেই বজবজে ফের বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন লাগে। বেআইনি বাজি কারখানার গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন। বজবজের নন্দরামপুর দাসপাড়ায় বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছিল এলাকা, দাবি জানিয়েছিল স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। বাড়িটির উপরে দোতলায় কাজ হচ্ছিল। দমকল আসার আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছিলেন স্থানীয়রা। এই এলাকার সামনে রাস্তা সরু। দমকলের গাড়ি প্রথমটায় ঢুকতে সমস্যা হয়েছে। এই এলাকায় আশেপাশে একাধিক পুকুর রয়েছে। সেখান থেকে জল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। বাড়িটির সিঁড়ি ও তলার ঘর একেবারে পুড়ে গিয়েছে। বাড়িটিতে বাজি তৈরির কাজ চলত বলে স্থানীয়দের দাবি। উপরের ঘরে গুদামে বাজি রাখা হতে বলে খবর।