Mamata on Rampurhat Violence : "সেদিন ডিএসপি ছুটে গেলে এই ঘটনা হত না", রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে পুলিশকে ভর্ৎসনা মমতার
Mamata Banerjee expresses Dissatisfaction : গত ১৯ মার্চ রাতে বগটুই গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের পরিজনদের নিজের কোটা থেকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা : হাঁসখালির ঘটনার পাশাপাশি আজ রামপুরহাটের বগটুইয়ের ঘটনা নিয়েও পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। "সেদিন ডিএসপি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গেলে রামপুরহাটে (Rampurhat) এই ঘটনা হত না।" পুলিশকে ভর্ৎসনা করে এমনই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে আজ নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল মিট করেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমের জেলাশাসক-এসপিদের সঙ্গেও কথা বলেন। সেই সময় তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বিশ্বভারতীয় ছাত্রমৃত্যু ও বগটুইয়ের মতো ঘটনার কথা।
বগটুইয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "সেদিন ডিএসপি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গেলে রামপুরহাটে এই ঘটনা হত না। তোমাদের অবহেলার জন্য এটা হয়েছে। যে কোনও ঘটনা ঘটলে তার একটা রিট্যালিয়েশন হতেই পারে। অনেক ভুল হয়েছে। তার জন্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।"
এর পাশাপাশি রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দেন তিনি। বলেন, "আমরা তো ঘটনাকে সাপোর্ট দিইনি। আমরা মর্মাহত।" নাম না করে বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন, "বলছে, চাকরি দিয়ে আমরা নাকি ঘুষ দিয়েছি। ওদের জিজ্ঞাসা করবেন, হাথরাস, উন্নাওয়ে সহ অনেক ঘটনা ঘটেছে। ক'পয়সা সাহায্য করেছে মানুষকে। কোনও সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে ওদের ? ওরা জানে না, ডিজাস্টার হলে যে কেউ সরকারের সাহায্য চাইতে পারে। তাছাড়া আমার কোটা থেকে চাকরি দিয়েছি। প্রত্যেক মন্ত্রীর বছরে ৩টি করে কোটা আছে। এক বছর তারা কাজ করবে। ১০ হাজার টাকা মাইনে। এক বছর পর গ্রুপ ডি-তে পার্মানেন্ট হয়ে যাবে। আমি আমার থেকে দিয়েছি। কোনও মন্ত্রীর থেকে দিইনি। বগটুইতে যে ১০টা চাকরি দিয়েছি, সেটা আমার থেকে। অন্য কারও থেকে নয়। আমার হাতে চার-পাঁচটা দফতর আছে । সেখান থেকে। লুকিয়ে দিলে সেটাকে ঘুষ বলে।"
গত ১৯ মার্চ রাতে বগটুই গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের পরিজনদের নিজের কোটা থেকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি, সেই মোতাবেক ১০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় নিহতদের পরিবারের সদস্যের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। নিয়োগপত্র দেওয়া শেষ হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী এক-দু’দিনের মধ্যে যাতে নিহতদের আত্মীয়েরা কাজে যোগ দিতে পারেন, তা দেখার দায়িত্ব জেলাশাসকের।