Birbhum News:বীরভূমে বিস্ফোরক পাচারকাণ্ডে NIA-র হাতে ধৃত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি
Bomb Material Trafficking:বীরভূমে বিস্ফোরক পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করল এনআইএ। শুক্রবার ভোররাতে বীরভূমের পাইকর থানার কুশমোড় গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও নান্টু পাল, বীরভূম: বীরভূমে (Birbhum) বিস্ফোরক (Bomb Material Trafficking) পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি (TMC Area President Arrest) ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করল এনআইএ (NIA)। শুক্রবার ভোররাতে বীরভূমের পাইকর থানার কুশমোড় গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ইসলাম চৌধুরীকে। আগেই অবৈধ বিস্ফোরকের ব্যবসার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন মনোজ ঘোষ। প্রশাসন সূত্রে খবর, নলহাটিতে তৃণমূল টিকিটে জিতেছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তাঁকে জেরা করে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইসলাম চৌধুরীর কথা জানতে পারে এনআইএ, সূত্রের খবর এমনই। ধৃতকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে খবর।
যা জানা গেল...
এদিন সকালে ইসলাম চৌধুরীর পাশাপাশি তাঁর বাবাকেও প্রথমে আটক করেছিল এনআইএ। কুশমোড় এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ইসলামের স্ত্রী এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোড়াফুলের টিকিটে লড়ে জিতেছেন। সূত্রের খবর, মহম্মদবাজার এলাকা থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘটনাতেই ইসলাম চৌধুরীকে প্রথমে আটক করেছিল এনআইএ। এর পর জেরা চলে। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বাবার দাবি, এনআইএ-র দল ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে এসে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে তিনটি ডায়েরি ও একটি কম্পিউটার উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। এর পরই ইসলাম চৌধুরীকে থানায় এনে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গ্রেফতারি। এর আগে গ্রেফতার তিন জনের মধ্যে একজন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বলে জানা যায়। কিন্তু তাঁর জেরায় ঠিক কী ভাবে, কোন সূত্রে দলের অঞ্চল সভাপতির নাম উঠে এল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যখন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে তুমুল অশান্তির অভিযোগ আসছে, তখনই কাটোয়ার এক তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ি থেকে বোমা তৈরির উপকরণ-সহ দেড় কেজি মশলা উদ্ধারের অভিযোগ ওঠে। কাটোয়া থানার আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুসুম্বা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনায় গ্রেফতার হন প্রার্থীর স্বামী মিঠুন দাস। এত পরিমাণ বোমা তৈরির উপকরণ কী করছিল তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে? ভোটের মুখে চাঞ্চল্য তৈরি হয় ওই ঘটনায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও বিদায়ী প্রধান অবশ্য এই অভিযোগ মানেননি। তাঁদের দাবি, পুলিশ মাছের খাবার উদ্ধার করে কী করে বলছে বোমার মশলা উদ্ধার হয়েছে? যদিও কাটোয়া থানার পুলিশ বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে মিঠুন দাসকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে।
আরও পড়ুন:'মোদি পদবি' মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি রাহুলের, ফিরছে সাংসদ পদও