Kolkata News: পাখির চোখ ২৬-র ভোট, ফের মোদিকে রাজ্য়ে আনতে চায় বঙ্গ BJP, ঘর গোছাতে বৈঠক সুকান্তদের
BJP Meet in WB: সংগঠনিক নানা বিষয়ে আলোচনা বিজেপির বৈঠকে

কলকাতা: পাখির চোখ ছাব্বিশের ভোট, ফের মোদিকে রাজ্য়ে আনতে চায় বঙ্গ বিজেপি। জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে আনতে আগ্রহী রাজ্য বিজেপি। ঘর গোছাতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপির বৈঠক।
আরও পড়ুন, এখনও ICU-তে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, 'গুরুতর অসুস্থ' প্রাক্তন বিচারপতি, এল টেস্টের রিপোর্ট
জুন-জুলাইয়ের মধ্য়ে সংগঠনের কাজকর্ম গুছিয়ে নিতে তৎপর গেরুয়া শিবির।একাধিক জেলায় এখনও জেলা সভাপতি দিতে পারেনি গেরুয়া শিবির। সংগঠনিক নানা বিষয়ে আলোচনা বিজেপির বৈঠকে । বৈঠকে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য, মঙ্গল পান্ডে। রয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতানেত্রীরাও।
তামিলনাড়ুতে দাঁড়িয়ে ২০২৬-এ পশ্চিমবঙ্গ দখলের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। যা নিয়ে বাগযুদ্ধের মধ্যেই রাজনীতির সুর চড়ছে 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস'কে কেন্দ্র করে। প্রতিবারের মতো এবারও ২০ জুন বড় আকারে 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালনে করতে চায় বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, সল্টলেকের দফতরে ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে প্রস্তুতি বৈঠক।
এবার 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস'-এর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর। যদিও এখনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকার, ২০ জুন দিনটিকে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস বা ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে পালনের নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে, পয়লা বৈশাখ দিনটিকে 'রাজ্য দিবস' ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। যার পোশাকি নাম 'বাংলা দিবস'। যদিও, বিজেপির দাবি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ২০ জুন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করা উচিত। এই পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন নিয়ে বারেবারে সংঘাতে জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। রাজভবন-নবান্নের সংঘাতও প্রকট হয়েছে।
২০২৩ সালে রাজভবনে পালন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ দিবস। যা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ফোন করে আপত্তি জানান মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এখানে এসব করে লাভ নেই। পয়লা বৈশাখটাই আসল। কাকে কে আনবে তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ৮ বছর পর তৃণমূলের হাতে থাকা সমবায় ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার ডুমা ফিসারমেন্স কো-অপারেটিভ সোসাইটির ভোটে জয়ী হয় গেরুয়া শিবির। মানুষ তৃণমূলের দুর্নীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে, প্রতিক্রিয়া বিজেপি বিধায়কের। বাম-বিজেপির একাংশের অলিখিত জোটের কারণে এই ফল, পাল্টা জবাব তৃণমূলের। স্লোগান, জয় শ্রীরাম ধ্বনি থেকে কোলাকুলি, আবির খেলা। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার শশাডাঙা ও বর্ণবেড়িয়ার পর, এবার আরও একটি সমবায় নির্বাচনে পরাজিত হন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।






















