Suvendu Adhikari: ERO-দের নিয়োগ নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ, অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে আর্জি শুভেন্দুর, কী লিখলেন এক্স হ্যান্ডেলে ?
Suvendu ON EC ON ERO Recruitment: নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনকে অগ্রাহ্য করে ERO-দের নিয়োগের অভিযোগ আনলেন শুভেন্দু, কী বললেন এক্স হ্যান্ডেলে

কলকাতা: ERO-দের নিয়োগ নিয়ে বেনিয়ম, অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে আর্জি বিরোধী দলনেতার। 'WBCS আধিকারিকদের বাদ দিয়ে জুনিয়র অফিসারদের নিয়োগ করার কাজ চলছে', নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনকে অগ্রাহ্য করে নিয়োগ চলছে।
এরকমভাবে ২২৬ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে, এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট শুভেন্দু অধিকারীর।
আরও পড়ুন, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের অফিসে ED-র হানা !
SDM, SDO বা RDO-দেরই একমাত্র ERO-পদে নিয়োগ করা উচিত, নির্দেশ ছিল EC-র। সেই নির্দেশ নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে কঠোরভাবে প্রয়োগ করুক, পোস্ট শুভেন্দু অধিকারীর।
I urge the Election Commission of India (ECI) to take immediate action to address the numerous anomalies in the appointment of Electoral Registration Officers (EROs) across West Bengal. It has come to my attention that many District Magistrates have appointed junior Officers as… pic.twitter.com/fyJDgRRwYr
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 10, 2025
ফের তৈরি হয়েছে সংঘাত। এর আগে গত ৫ অগাস্ট, মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের রিপোর্টের ভিত্তিতে, ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে, ২ জন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা ERO ২জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা AERO-কে সাসপেন্ড করতে মুখ্য়সচিবকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। এই ৪ জনকে সাসপেন্ড করতে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করতে নির্দেশ দেয় কমিশন। ময়নার এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধেও FIR দায়ের করতে বলে কমিশন।পাল্টা অফিসারদের পাশে দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মুখ্য়মন্ত্রী।
সম্প্রতি মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন, ২ জন WBCS অফিসার, ওঁরা সাসপেন্ড করে দিল, নির্বাচন ঘোষণাই হয়নি। কী সাহস! এখন থেকে কী ভেবেছেন? এই NRC-র নাম করে, ব্য়াকডোরে যাকে ইচ্ছা অফিসারদের ভয় দেখাবেন? অফিসারদের পাশে সরকার ছিল, আছে এবং থাকবে। ৩ দিন পর ৮ অগাস্ট একেবারে সময় বেঁধে, কড়া চিঠি দিয়ে নবান্নর ওপর পাল্টা চাপ তৈরি করে নির্বাচন কমিশন। ফের মুখ্য়সচিবকে পাঠানো চিঠিতে কমিশনের সচিব লেখেন, কমিশনের নির্দেশ, এই অফিসারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন এবং ১১ অগাস্ট দুপুর ৩টের মধ্য়ে নির্দেশ পালন করা হয়েছে, এই রিপোর্ট দিন। এরপরও নির্বাচন কমিশন যে ব্য়বস্থার কথা বলেছিল, কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে তা নেওয়া হয়নি। এরপর ১২ অগাস্ট মুখ্য়সচিবকে চিঠি দিয়ে তাঁকে সটান দিল্লিতে ডেকে পাঠায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
১৩ অগাস্ট দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে সদর দফতরে যান মুখ্য়সচিব মনোজ পন্থ। অবশেষে ২১ অগাস্ট ৪ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হলেও, কোনও FIR দায়ের করা হয়নি। অর্থাৎ ৪ জন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ আংশিক মানে নবান্ন। আর ক্য়াজুয়াল ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের ক্ষেত্রে FIR ও সাসপেনশনের জোড়া নির্দেশ মানা হয়। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার এসআইআর নিয়ে কমিশনের সঙ্গে সংঘাতে জড়াল রাজ্য় সরকার।যার ফলে এসআইআর প্রক্রিয়া কতটা নিরপেক্ষভাবে করা যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিজেপি।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিহারে যেভাবে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করেছে, রাজনৈতিক দলগুলোরও অংশগ্রহণ ছিল তাই সেখানে ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে। BLO-রা নির্ভয়ে প্রাণকে হাতে রেখে মানে বাঁচিয়ে তারাও বিহারের মতো SIR সব বুথে করতে পারবেন কিনা তারও আশঙ্কা আছে।























