SIR in Bengal: 'ভোটার তালিকায় নাম না উঠলে বাজেয়াপ্ত হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট', বললেন বিজেপি সাংসদ অনন্ত মহারাজ
Anant Maharaj: সিতাইয়ের সভায় এই মন্তব্য করেছেন বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত।

কলকাতা: ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন বা SIR নিয়ে এবার বিজেপি-র অস্বস্তি বাড়ালেন দলেরই সাংসদ অনন্ত মহারাজ। তিনি বললেন, "কে, কোন দেশি, তা কে প্রমাণ করবে? যাদের হাতে খাতাকলম, তারা নিজেই তো বাংলাদেশি?" শুধু তাই নয়, ভোটার তালিকায় নাম না উঠলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত হতে পারে, বন্দিশিবিরে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও দাবি করলেন তিনি। (Anant Maharaj)
সিতাইয়ের সভায় এই মন্তব্য করেছেন বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "ভোটার তালিকায় না না থাকলে ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যাবে। কোনও সুবিধা পাবেন না। গৃহমন্ত্রী বলেছেন, ডিটেনশন ক্যাম্প বানাবেন, যাঁদের নাম ওঠেনি তাঁদের রাখবেন। তার পর প্রমাণ করবে তোমরা কোন দেশি, এদেশি, না ওদেশি।" (SIR in Bengal)
রীতিমতো গর্জে উঠে অনন্ত বলেন, "আরে আমরা তো এটা জানতে চাইছি, প্রমাণটা কারা করবে? যাদের হাতে খাতাকলম, ওরাই তো বাংলাদেশি, ওরাই পাকিস্তানি।" অনন্তের এই মন্তব্য ঘিরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। এ নিয়ে তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, "যে কথাগুলি আমরা এতদিন বলছিলাম, সেই কথাই বলছেন বিজেপি-র সাংসদ, হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এমনকি বিজেপি-র সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও বলছেন। বিষয়গুলি আলাদা। তৃণমূল যে যে অভিযোগ করে এসেছে, বিজেপি-র অন্দর থেকেই তাতে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে।"
দেবাংশু আরও বলেন, "ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের ৪০ জন সাধু, মতুয়া এবং রাজবংশী, এঁদের প্রত্যেকের একটাই পরিচয়, এঁরা বাঙালি, এঁরা বাংলাভাষী। গোড়া থেকে বলছি, বিজেপি-র আসল লক্ষ্য বাঙালি ও বাংলাভাষী। কারণ এই জাতি ইংরেজদের তাড়িয়েছে। এই জাতি থাকলে মোদি-শাহ জুটিকেও তাড়াবে। ওদের লক্ষ্য, এই জাতির কোমর ভাঙো। সেই চেষ্টাতেই ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তিনি রুখবেন।"
অনন্তের মন্তব্যে সাফাই দিতে গিয়ে বিজেপি-র রাহুল সিনহা বলেন, "উনি একটা অন্য জগৎ থেকে এসেছেন। উনি রাজনীতি সম্পর্কে অতটা অভিজ্ঞ নন। সেই কারণে বোঝায় ভুল করেছেন। হিন্দু যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের আমরা শরণার্থী বলি। CAA মারফত তাঁদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এখন নির্বাচন কমিশনও দিয়ে দিয়েছে। অতএব যাঁরা হিন্দু বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তাঁরা সসম্মানে এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। কোনও হিন্দুর চিন্তার কোনও কারণ নেই। বোঝাবুঝির ভুল হতে পারে। কিন্তু চিন্তার কোনও কারণ নেই।"
তবে অনন্তই প্রথম নন, এর আগে শান্তনুকে বলতে শোনা যায়, "৫০ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান, বাংলাদেশি মুসলমান, পাকিস্তানি মুসলমান যদি বাদ যায়, তার মধ্যে ১ লক্ষ আমাদের সমাজের মানুষকে যদি একটু স্টপ থাকতে হয়...SIR আমাদের কোনও সমস্যা নয়। ভারত সরকারকে সহযোগিতা করতে যদি SIR সহ্য করতে হয়, করব না কেন?"






















