Jagannath Sarkar Security : দিনকয়েক আগে রক্ষা পেয়েছিলেন অল্পের জন্য, ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে
BJP MP Jagannath Sarkar : দিনকয়েক আগে কল্যাণী থেকে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপি সাংসদ। অভিযোগ, হরিণঘাটায় শিমুলতলার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়
সুজিত মণ্ডল, রানাঘাট : দিনকয়েক আগেই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। সেই ঘটনার পর এবার নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটের সাংসদ (Ranaghat MP) ও বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকারকে (Jagannath Sarkar) কেন্দ্রীয় নিরপত্তা দেওয়া হল আবার। গত ২৬ মার্চ থেকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, এমনই দাবি সাংসদের।
দিনকয়েক আগে কল্যাণী থেকে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপি সাংসদ। অভিযোগ, হরিণঘাটায় শিমুলতলার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। গাড়ির পিছনে বোমা পড়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পান সাংসদ। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরেই হরিণঘাটা থানায় যান সাংসদ। সেখানে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
আরও পড়ুন ; হরিণঘাটায় বিজেপি সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ
হামলার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী রত্না ঘোষ কর বলেন, ‘ওদের কথা শুনে হাসি পাচ্ছে। সব মিথ্যে অভিযোগ। খবরে আসার জন্য এই সব বলা হচ্ছে। হরিণঘাটা দুষ্কৃতীমুক্ত এলাকা।’
এদিকে এই ঘটনার পর পুলিশ ওই জায়গাটি ব্যারিকেড করে রাখে। ফরেন্সিক ল্যাবের প্রতিনিধি দল এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে তারা নমুনা সংগ্রহ করে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি খুন হয়েছেন দুই নবনির্বাচিত কাউন্সিলর। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে এক ব্যক্তি।
একই দিনে খুন হন পুরুলিয়ার ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পুরুলিয়া শহরে দলের বৈঠক সেরে ঝালদায় ফেরেন তপন কান্দু। স্থানীয় সূত্রের দাবি, বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথায় গুলি লাগে কংগ্রেস কাউন্সিলরের। রাঁচির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে।
এরপর বিজেপি সাংসদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়। এবার নিরাপত্তা বাড়ল সাংসদের।