Bankura News: নির্মাণের ৪ বছর কাটতে না কাটতেই ভাঙল সেতু, বাঁকুড়ায় অথৈ জলে ১০-১২ গ্রামের বাসিন্দারা
Bridge Collapse:নির্মাণের চার বছর কাটতে না কাটতেই ভেঙে পড়ল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের নিত্যানন্দপুর অঞ্চলের ছকুরডাঙা সেতু। হড়পা বানের ধাক্কায় ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল সেটি।
প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: নির্মাণের (construction) চার বছর কাটতে না কাটতেই ভেঙে (collapse) পড়ল বাঁকুড়ার (bankura) গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের নিত্যানন্দপুর অঞ্চলের ছকুরডাঙা সেতু (bridge)। হড়পা বানের (flash flood) ধাক্কায় ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল সেটি। যার জেরে দুর্ভোগ বেড়েছে অন্তত ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের (villagers)।
কী হয়েছিল?
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ২০১৮ সালে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের তহবিল থেকে ৫৪ লক্ষ টাকা খরচ করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তার পর থেকে ছকুরডাঙ্গা, চৈতন্যপুর, আনন্দপুর, ভবানীপুর, মোহনপুর, লক্ষীনারাণপুর, তড়কাবাইদ, ফুলজাম-সহ প্রায় ১০- ১২টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এটি। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সেতুর ওপারে রেশন দোকান, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাই স্কুল, গ্রাম-পঞ্চায়েতের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য রয়েছে। সেখানে যেতে হলে এটিই একমাত্র ভরসা তাঁদের। কিন্তু হড়পা বানের ধাক্কায় ছকুরডাঙা সেতু এখন মাঝখান থেকে দুমড়ে পড়ে রয়েছে। ফলে গ্রামে কোনও অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে না। চার ও ছয় চাকার যানও চলাচল করতে পারে না। বাসিন্দাদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। তা ছাড়া স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের তীব্র ভোগান্তি তো রয়েছেই। সেতুর এহেন দশার জন্য নিম্নমানের সামগ্রী এবং অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণের দিকেই আঙুল তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। কথার কথা বলে দায় সেরেছেন তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিতে দ্রুত সেতু মেরামতির পাশাপাশি সেটি যাতে আরও উঁচু করে ওভার ব্রিজ করা হয় সেই দাবিও করছেন স্থানীয়রা।
রাজনৈতিক তরজা...
সেতু মেরামতি কবে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনা ঘিরে এর মধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুজিত অগস্তি সেতু নির্মাণে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার ভাবকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। অন্য দিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তারাশঙ্কর মণ্ডল আবার ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, ডিভিসির ছাইমিশ্রিত জলে নদীর নাব্যতা হ্রাসের কারণে সেতুটি চাপ সহ্য করতে না পারায় ভেঙে পড়েছে। তবে তাঁর সংযোজন, 'আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি যাতে শীঘ্রই সেতুটি মেরামত করা হয়।' যদিও শেষমেশ কবে তা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন:চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে লাইনে পড়ে মৃত্যু গৃহবধূর, মর্মান্তিক ঘটনা মালদা টাউন স্টেশনে