Group D Job Lost Case : ৫ বছর বিদ্যালয়ে নিজের শ্রম দিয়েছি, কেন ফেরত দেব বেতন ? আদালতের দ্বারস্থ চাকরিহারা কয়েকজন গ্রুপ ডি কর্মী
Scam : মাত্র ৭ মিনিটে, বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত এই ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এই অযোগ্য় প্রার্থীদের অবিলম্বে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : ৫ বছর চাকরি করেছি। বিদ্যালয়ে নিজের শ্রম দিয়েছি। কেন ফেরত দেব বেতন ? এই প্রশ্ন তুলে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন চাকরিহারা কয়েকজন গ্রুপ ডি কর্মী (Job Lost Group D Workers)। গত শুক্রবারই ২০১৬'র OMR শিট দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গেছে, ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ D কর্মীর।
চাকরি বাতিল, বেতন বন্ধের নির্দেশ
CBI ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬-র গ্রুপ ডি পরীক্ষার ২ হাজার ৮২৩টি OMR শিটে নম্বর কারচুপি করা হয়েছিল। তারমধ্য়ে ১ হাজার ৯১১ জনকে সুপারিশপত্র দেয় স্কুল সার্ভিস কর্মিশন। গত শুক্রবার, মাত্র ৭ মিনিটে, বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত এই ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এই অযোগ্য় প্রার্থীদের অবিলম্বে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
শুক্রবার থেকেই আর স্কুলে ঢুকতে পারবেন না তাঁরা বলেও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর কড়া রায় ছিল, এই অযোগ্য় প্রার্থীরা দেশের কোনও সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কোনও ক্ষেত্রে, আদালতের অনুমতি ছা়ড়া এঁদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা যাবে না।নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এই ১ হাজার ৯১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে CBI। কেউ অসহযোগিতা করলে, প্রয়োজনে হেফাজতেও নিতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, বলেও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন চাকরিহারাদের একাংশ। চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েকজন চাকরিহারা। এবার বেতন ফেরতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে নতুন মামলা দায়ের হল।
গ্রুপ ডি-র (Group D) চাকরি (Job) বাতিল হওয়া ১৯১১ জনের তালিকায় কোচবিহার (Coochbehar), বাঁকুড়ার (Bankura) সহ একাধিক জেলার তৃণমূল (TMC) নেতা-কর্মীদের নামও রয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন মেধাতালিকার প্রথম দশে! এদিকে ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে, মাত্র একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন ওই শাসকনেতা। প্রসঙ্গত শুধু গ্রুপ ডি পদে কর্মরতদেরই নয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক শিক্ষকেরও চাকরি গিয়েছে ইতিমধ্যে।