Camac Street Fire : ক্যামাক স্ট্রিটে পানশালায় ভয়াবহ আগুন, লড়াই চালাচ্ছে দমকলের ১০ ইঞ্জিন
Kolkata Fire : ক্যামাক স্ট্রিটে ওই পানশালার বিপরীতেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর।
সৌমিত্র রায়, কলকাতা : কলকাতার ( Kolkata Fire ) প্রাণকেন্দ্রে ভয়ঙ্কর আগুন। ক্যামাক স্ট্রিটের ( Camac Street ) একটি পানশালায় আগুন লাগে সোমবার গভীর রাতে। রাত ৩ টে নাগাদ কর্মীরা বাড়ি চলে যাওয়ার পর পানশালায় আগুন লাগে বলে জানা যায়। মুহূর্তে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। মাঝ রাতে ক্যামাক স্ট্রিট এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে আসতে শুরু করে একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন।
পানশালার পিছনেই ভয়াবহ আগুন
কালো ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ঢেকে যায়। ক্যামাকস্ট্রিটের ওই এলাকা অপেক্ষাকৃত ঘিঞ্জি। তাই আগুন যাতে বেশি ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিয়ে শুরু থেকেই অতি সতর্ক ছিল দমকল বাহিনী। প্রবল তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ক্যামাক স্ট্রিটে ওই পানশালার বিপরীতেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর। ভোরের মধ্যে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই পানশালার পিছনেই রয়েছে বেশি কিছু বাড়ি। আগুন ছড়ালে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত।
ধোঁয়ায় ঢেকে এলাকা
জানা যাচ্ছে, পানশালায় অ্যালকোহল মজুত রয়েছে। সেই ঘরে আগুন ছড়ালে দুর্ঘটনা ভয়াবহ হতে পারত। তবে তা ঘটেনি দমকলকর্মীদের তৎপরতায়। কী কারণে আগুন, এখনও নিশ্চিত বলা যায়নি। এসি বা রান্নাঘর থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ভোরের দিকে পকেট ফায়ার কিছু আছে। ধোঁয়ায় ঢেকে আছে এলাকা।
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে আকাশ
অন্যদিকে সোমবার হাওড়া ময়দানের কাছে মার্কেট কমপ্লেক্সে চামড়ার ব্যাগের দোকানে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। বেলা ১২টা নাগাদ একতলায় ব্যাগের দোকানে আগুন লাগে। দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। দোতলার একাংশেও আগুন ছড়িয়েছে। ওই বহুতলে পোশাকের দোকান, রেস্তোরাঁ রয়েছে। আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। জিটি রোডের একাংশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
সামনেই জিটি রোড। বাজার সংলগ্ন জনবসতিপূর্ণ এলাকা। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। নিমেষে ছারখার হয়ে যায় কিছু দোকান। জিটি রোডের একাংশে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। দমকল জানিয়েছে,
সম্ভবত এসি থেকে শর্টসার্কিট হয়েছিল। তার থেকেই আগুন লাগে। আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।