SSC Case : 'শুধু চাকরিহারাদের জন্য কেন ভাতা?' আদালতে মামলা, প্রশ্নের মুখে এবার গ্রুপ C, গ্রুপ D শিক্ষাকর্মীদের ভাতাও?
রাজ্য সরকার চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের যে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করেও মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।

সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : SSC-র নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঘিরেও তৈরি হয়েছে জটিলতা। ৯ বছর পর SSC নিয়ে জট খুলতে গিয়ে পাকিয়েছে নতুন জট । নতুন নিয়োগ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার রাজ্য সরকার চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের যে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করেও মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।
গত ১৪ মে, চাকরিহারা গ্রুপ C, গ্রুপ D শিক্ষাকর্মীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করে। গত ১৪ মে তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করার পর জানিয়ে দেন, রাজ্যের তরফে চাকরি হারানো শিক্ষাকর্মীদের কঠিন পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফে অনুদান দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ওয়েস্টবেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিম’প্রকল্পের মাধ্যমেই রাজ্য সরকার এই ভাতা বা অনুদান দেবে চাকরি হারানো গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের। সেই ভাতা-সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার দায়ের হল মামলা। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীদের প্রশ্ন, 'শুধু চাকরিহারাদের জন্য কেন রাজ্য সরকারের ভাতা?'আন্দোলনকারীদের অনেকেরই বক্তব্য সব চাকরিহারা গ্রুপ C, গ্রুপ D শিক্ষাকর্মীদের ভাতা ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী যোগ্য-অযোগ্য গুলিয়ে দিয়েছেন। যদি তাঁরা ভাতা পান, তাহলে কেন ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সব চাকরিপ্রার্থীদের ভাতা পাবেন না? প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁদের মনে হচ্ছে, যারা দুর্নীতি করে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরাও এর মাধ্যমে বাড়তি সুবিধে পাবেন। এই মামলার শুনানি হবে ৫ জুন।
এছাড়া আদালতে মামলা হয়েছে SSC-র নতুন নিয়োগ বিধি নিয়েও। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। মামলা করেছে ২০১৬ সালের SSC-র ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। ২০১৬ র সঙ্গে ২০২৫-এর নিয়োগ বিধিতে একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে । অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনের নম্বর ৩৫ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১০। পড়ানোর অভিজ্ঞতায় বরাদ্দ রয়েছে ১০ নম্বর। এই সব বদলকেই চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে। এই সব মামলার শুনানি রয়েছে আগামী ৫ জুন।






















