Dilip Ghosh: 'জেলায় জেলায় অশান্তি আরও বাড়বে', পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ দিলীপের
উদ্বেগ প্রকাশ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। অন্যদিকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ভোটের আগেই পরাজয়ের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে।
কলকাতা: মনোনয়ন জমা ঘিরে জেলায় জেলায় অশান্তি আরও বাড়বে। তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বন্দ্বের জেরে অশান্তি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শাসক দলের মনোনয়ন জমার সময় পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।' উদ্বেগ প্রকাশ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। অন্যদিকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ভোটের আগেই পরাজয়ের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে।
আগেও দিলীপের হঙ্কার: এর আগে হুঙ্কার শোনা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির গলায়। 'মনোনয়নে তৃণমূল গন্ডগোল করতে এলে, হাসপাতালের বেডগুলো তৈরি রাখুন। কে যাবে কেউ জানে না'। মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ের সভা থেকে হুঙ্কার দিলীপ ঘোষের। পাশাপাশি, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির হুঁশিয়ারি, ভোটের প্রচারে এলে, নেতাদের কলার চেপে ধরুন। যারা টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি, ঘর দেয়নি তাদের ধরুন। আম গাছ, কাঠাল গাছে বেঁধে রাখুন। বাকিটা আমরা দেখে নেব।
সপ্তমে বাগযুদ্ধের সুর: উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই বাগযুদ্ধের সুরও সপ্তমে চড়েছে। মনোনয়নের সময় গন্ডগোল পাকালে, তৃণমূলের লোকজনকে হাসপাতালে পাঠানোর হুঙ্কার দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিকে, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেই দিচ্ছেন, তাঁর দল ৯৮ শতাংশ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাবে! এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
দিলীপের চ্যালেঞ্জ, মদনের পাল্টা চ্যালেঞ্জ। দিলীপের হুঁশিয়ারি, মদনের পাল্টা হুঁশিয়ারি পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হতেই তেতে ওঠে রাজ্য় রাজনীতি। ৮ জুলাই, গ্রামবাংলার ভোটের লড়াই। তাকে কেন্দ্র করে, একদিকে, আদালতে আইনি লড়াই
অন্যদিকে রাজনীতির ময়দানে শুরু হয়ে গেছে কথার লড়াই! দিলীপ ঘোষ যখন মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখতে বলে, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তখন সুর উচ্চগ্রামে চড়িয়ে, কার্যত বিরোধীহীন পঞ্চায়েত গঠনের ডাক দিয়েছেন মদন মিত্রও! একথা শুনে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের কথা, সেবার তথাকথিত গণতন্ত্রের উৎসবকে ঘিরে সন্ত্রাসের দাঁত-নখ বার করা ভয়ঙ্কর চেহারা দেখেছিল বাংলা। অন্তত ৩৪ শতাংশ আসনে শাসকদল জিতেছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবারও এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না তো? এবারও দেখা যাবে না তো সেই গা জোয়ারি?
নেতায় নেতায় কথার যুদ্ধের আবহে সেই প্রশ্ন, সেই সংশয় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা চেয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। তেমনই এদিন থেকেই মনোনয়ন পত্র তোলার ভিড়ও চোখে পড়েছে বিভিন্ন জেলায়।শেষপর্যন্ত এই তীব্র গরমে, ভোটের হাওয়া কতটা গরম হয়, সেই কৌতুহল সবার।