Chhath Puja 2023: দূষণমুক্ত রাখতে হবে শহরের ফুসফুসকে, ছট পুজোয় প্রবেশ নিষিদ্ধ দুই সরোবরে
Kolkata News: বাঁচাতে হবে সবুজকে... মহানগরের অন্যতম অক্সিজেন ভাণ্ডারকে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মেনে এবারও ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে দুই সরোবরে।
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে, এবারও ছট পুজো নিষিদ্ধ রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarovar) এবং সুভাষ সরোবরে (Subhash Sarovar)। সোমবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতার এই দুই লেকে প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে টাঙানো হয়েছে নোটিস। বিকল্প হিসাবে ছটপুজোর (Chhath Puja 2023) জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম জলাশয়।
দুই সরোবরে প্রবেশ নিষিদ্ধ: দূষণমুক্ত রাখতে হবে দক্ষিণ কলকাতা ও পূর্ব কলকাতার দুই ফুসফুসকে। বাঁচাতে হবে সবুজকে... মহানগরের অন্যতম অক্সিজেন ভাণ্ডারকে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মেনে এবারও ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রবীন্দ্র সরোবরে। দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র এই জলাশয়ের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিস। গেটের বাইরে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড।টিনের বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে বেলেঘাটা সুভাষ সরোবরের উন্মুক্ত জায়গা। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে, এবারও রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে নিষিদ্ধ হয়েছে ছট পুজো। আগামী শনিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই দুই সরোবরে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সবুজের উপর নির্বিচারে দূষণের বিষ ঢালা বন্ধ করতে গত কয়েকবছর ধরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরের প্রবেশ পথগুলি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ। অতীতে আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই সরোবরে ছট পুজো হয়েছে। যার জেরে দূষিত হয়েছে পরিবেশ। পুলিশের চোখের সামনেই ভাঙা হয়েছে আইন। যার কড়া সমালোচনা করেছেন শহরের সাধারণ নাগরিক থেকে পরিবেশবিদরা। গত তিন বছর ধরে অবশ্য বদলেছে পরিস্থিতি। প্রশাসন সূত্রে খবর, কলকাতার এই দুই লেকের বদলে তার আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে হচ্ছে ছটপুজোর ব্যবস্থা।
এদিকে ময়দান চত্বরে কাটা যাবে না কোনও গাছ বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মোমিনপুর-এসপ্লানেড মেট্রোর নতুন স্টেশন তৈরির জন্য ময়দান এলাকায় প্রায় ৭০০ গাছ কাটা হবে। এই গাছ কাটার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেই। এই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আদালতে রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডের তরফে জানানো হয়, নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সেনা। এ ছাড়া, রাজ্যের বন দফতরের কাছ থেকেও অনুমতি প্রয়োজন। তাই এখন গাছ কাটার কোন প্রশ্নই নেই। এরপরই গাছ কাটায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে গাছ কাটার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: ময়দান চত্বরে কাটা যাবে না কোনও গাছ, নির্দেশ হাইকোর্টের