WB Assembly: আচার্য বিলের ভোটগণনায় বিভ্রান্তি, একযোগে আক্রমণ বিজেপি-র
University Chancellor Bill: কেউ শব্দের মোড়কে কটাক্ষ করলেন, কেউ আবার সরাসরি আক্রমণ ছুড়ে দিলেন, বিধানসভায় ভোট গণনা বিভ্রান্তি নিয়ে এই অবস্থানই নিতে দেখা গেল বিজেপি-কে।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, দীপক ঘোষ, পূর্ণেন্দু সিংহ, কলকাতা: আচার্য বিলের (University Chancellor Bill) ভোটগণনা নিয়ে ফের সরব বিজেপি (BJP)। সরাসরি ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অধ্যক্ষ (Biman Banerjee) জানিয়েছেন, বিধানসভার এক প্রবীণ কর্মী ভোট গণনায় ভুল করেছিলেন। এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিজেপি-র কটাক্ষের মুখে স্পিকার
বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী কটাক্ষের সুরে বলেন, "স্পিকার সাহেবের ওপর আমাদের ভয়ঙ্কর আস্থা। আমার ধারণা, উনি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্পিকার। আমাদের মহামাণ্য ট্রেজারি বেঞ্চ যে কোনও ষড়যন্ত্র করতে পারে, এটা আমি ভাবতেই পারি না। এরকম স্পিকার আমি কোথায় পাব? আমি খুবই ভাগ্যবান।"
কেউ শব্দের মোড়কে কটাক্ষ করলেন, কেউ আবার সরাসরি আক্রমণ ছুড়ে দিলেন, বিধানসভায় ভোট গণনা বিভ্রান্তি নিয়ে এই অবস্থানই নিতে দেখা গেল বিজেপি-কে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "বিধানসভায় যেখানে জয় পরাজয় আগে থেকেই নিশ্চিত, সেখানেও ছাপ্পা মারতে হয়েছে। বিজেপি এমএলএদের স্লিপগুলোকে টিএমসির বলে দিয়ে দেয়।"
মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে চেয়ে সোমবার বিধানসভায় বিল পাস হয়। কিন্তু, ভোটাভুটির ফল নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। প্রথমে জানানো হয়, বিলের পক্ষে ভোট ১৮২টি এবং বিলের বিপক্ষে ৪০টি ভোট পড়েছে। এর পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তোলেন যে, বিজেপি-র ৫৭জন বিধায়ক ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছিলেন। বিলের বিপক্ষে ৪০ জনের ভোট পড়লে, বাকি ১৭জনের ভোট কোথায় গেল?
ভোটাভুটিতে কারচুপির অভিযোগ তোলে বিজেপি। বিধানসভা সূত্রে খবর, পরে ফলাফল নথিভুক্তির সময় ধরা পড়ে গণনায় ভুল হয়েছে। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৬৭টি এবং বিপক্ষে ৫৫টি। এই প্রসঙ্গে, মঙ্গলবার বিধানসভায়, বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী অধ্যক্ষকে বলেন, "আমার দলেরই কেউ কেউ বলছে, এটা সরকারের চক্রান্ত। তবে আমি বিশ্বাস করি, সেরকম কিছু হয়নি। আপনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ। যাঁদের এই দায়িত্বটা দেওয়া হয়েছে, হয় তারা অবহেলা করেছে, নয়তো অযোগ্য।"
ভোটগণনায় বিভ্রান্তি নিয়ে বিতর্ক
এর পরই, অধ্যক্ষ বলেন, "পুরোটাই মিসটেক। এক সিনিয়র কর্মীর গোনার সময় ভুল করেছিলেন। তিনি ভুল স্বীকারও করেছেন। তবুও আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।" তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বক্তব্য, "একটা একটা ভুল হয়ে গেছে। যিনি করেছেন, তিনি অনেক সিনিয়র। অবসরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে।" ইতিমধ্যেই বিধানসভার সচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার।