Adhir Chowdhury: ‘সবাই জানে CPM, Congress শূন্য, কিন্তু বার বার ঘুঘুতে ধান খাবে না’, DYFI-র ব্রিগেড সমাবেশের আগে বললেন অধীর
DYFI Brigade Rally: রবিবার DYFI-এর সমাবেশ ঘিরে উন্মাদনা চরমে। লাল-সাদা পতাকা নিয়ে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন ব্রিগেডে।
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে শহরে প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ। বাম যুব সংগঠন DYFI-এর ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে লাল-সাদা গোটা শহর। কিন্তু রাজ্যে সিপিএম-এর জোট শরিক যে কংগ্রেস, তাদের সমাবেশে দেখা যায়নি। সেই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। ব্রিগেডে DYFI-এর সমাবশে কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানালেন তিনি। (Adhir Chowdhury)
রবিবার DYFI-এর সমাবেশ ঘিরে উন্মাদনা চরমে। লাল-সাদা পতাকা নিয়ে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন ব্রিগেডে। সিপিএম-এর যুব সংগঠনের এই সমাবেশে, লাল শিবিরের জোটসঙ্গীকে কেন দেখা গেল না, সেই প্রশ্নও উঠছে। কিন্তু এদিন সংবাদমাধ্যমে অধীর বলেন, "ওঁরা তো বলেইছেন যে খোলা ময়দান, যাঁর ইচ্ছে আসবেন. আলাদা করে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তার জন্য আমাদের কোনও আফশোস, ক্ষোভ বা বিরক্তি নেই। ওদের পার্টির ব্যাপার।" (DYFI Brigade Rally)
DYFI-কে নিয়ে অধীর বলেন, "ওদের ইন্ডিভিজুয়াল এনটিটি। ওরা তো আর কংগ্রেস নয়! এখানে আমন্ত্রণ জানানোর কী আছে? ওরা ওদের মতো করবে, আমরা আমাদের মতো। সিপিএম পার্টির এই ক্ষমতা তো আছে যে, এই বাজারে তারা ব্রিগেড ডাকার ব্যবস্থা করেছে! তাদের ক্ষমতা আছে, তাই করেছে। এখন ভোটের ফলাফল কী হবে, তা জানি না।"
লাল শিবিরের ব্রিগেডে জমায়েত বরাবরই হয়। কিন্তু ব্রিগেডে মাঠ ভরলেও, ভোটের বাক্সে তার সুফল মেলে না। লোকসভা নির্বাচনের আগে DYFI-এর এই সমাবেশকে সামেন রেখে সিপিএম যে চাঙ্গা হওয়ার চেষ্টা করছে, তার সুফল মিলবে কিনা, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু অধীরের বক্তব্য, "সিপিএম শূন্য সবাই জানে। সবাই জানে, কংগ্রেসও শূন্য। সেদিনের ভোট হয়েছিল সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের ভোট। বার বার ঘুঘুতে ধান খাবে না। বাংলার দিদিকে আর বাংলার বিজেপি-কে এই কথা বলে রাখছি আমরা। বার বার ঘুঘুতে ধান খাবে না। নাগরিক আইন আর এনআরসি ভোট করাবে না বার বার।"
বিজেপি যদিও DYFI-এর ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ করেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, "ওদের কোনও অস্তিত্ব নেই। বামপন্থীরা অনেক আগেই নিজেদের লাইন থেকে সরে গিয়েছে। মীনাক্ষী বলবেন, তৃণমূল চোর, ভাইপো চোর, চোর ধরো, জেল ভরো। বিজেপি-কেও যদিও চোর বলেন উনি। আর মীনাক্ষীর জ্যাঠা সীতারাম ইয়েচুরি পটনা, মুম্বই, দিল্লিতে একসঙ্গে বসে বিরিয়ানি খাবেন। মানুষ সব দেখছেন।"
তৃণমূলের কুণাল ঘোষ আবার লেখেন, 'ব্রিগেড নিয়ে সিপিএম যেন মাতামাতি না করে। ক'জন যাচ্ছেন, সেটা বড় কথা নয়। ব্রিগেডে গেলেও কমরেডরা ভোট দিচ্ছেন না, এটা প্রমাণিত। কিছু কমরেড বিজেপি-কে ভোট দেয়। সিপিএম আগে নিজস্ব ভোট ফেরাক'।