Sitalkuchi Violence: কোচবিহারের শীতলকুচিতে ফের শ্য়ুটআউট
Sitalkuchi Shootout Case: ফের মর্মান্তিক ঘটনা। শীতলকুচির পাঠানটুলি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক মহিলা।
কোচবিহার: কোচবিহারের শীতলকুচিতে ফের শ্য়ুটআউট (Cooch Behar Shootout Case)। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, পারিবারিক বিবাদের জেরে চলল গুলি। শীতলকুচির পাঠানটুলি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক মহিলা। জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই মহিলার নাম রাশিদা বিবি। (Sitalkuchi Violence)
বারবার বিতর্কে শীতলকুচি, প্রেক্ষাপট ২
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে (WB Assembly Election 2021) কোচবিহারের শীতলকুচি একটা বড়সড় ইস্যু। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের গুলিতে মৃত্যু ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল কোচবিহারের এই শীতলকুচি। আর এবার তেইশের পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক ১২ দিন আগে উত্তরবঙ্গের সেই কোচবিহার থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবং এবারেও তাঁর বক্তব্যে উঠে এল বিএসএফ ইস্যু।
বিস্ফোরক মন্তব্য
সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ' খবর আছে বর্ডারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবে বিএসএফ।'মমতা অভয় দিয়ে বলেছিলেন, 'বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত স্বজনহারাদের পরিবারের পাশে থাকবে তৃণমূল। খবর আছে বর্ডারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবে বিএসএফ। বিএসএফ ভয় দেখালে ভয় পাবেন না। বিএসএফ ভয় দেখালে আমাদের এসে জানান। কোচবিহারে বিএসএফ-এর গুলি করে মারা যেন অধিকারের মধ্যে পড়ে গেছে।'
প্রেক্ষাপট ৩
বাইশ সালে গরু উদ্ধারে গিয়ে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টির ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার মুহূর্তের সেই ভিডিও ভাইরালও হয়েছিল। ১৭ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন ওই ঘটনায়। ৩৪টি গরু উদ্ধার করা হয়েছিল৷ গ্রেফতার করা হয়েছিল ৬ জনকে। যদিও বিরাম নেই তেইশ সালেও সন্ত্রাসে।
প্রেক্ষাপট ৪
ভোটের আগেও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে কোচবিহারে চলেছে 'গুলি'। দিনহাটার পর তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছিল শীতলকুচি। এবং ভোট মিটে গেলও ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের তালিকাতেও নাম ছিল এই জেলার। উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছিল কোচবিহারের দিনহাটায়। ভেটাগুড়িতে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন, যাদবপুরকাণ্ডে লালবাজারে তলব ডিন অফ স্টুডেন্টস ও রেজিস্ট্রারকে
দিনহাটা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী রাজীব বর্মন বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ির বাইরে সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির চারপাশে টিনের দেওয়াল। তৃণমূলের অভিযোগ, হামলার নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে গেরুয়া শিবির।
প্রেক্ষপট ৫
স্বজন হারানোর বেদনা। সন্তানহারা মায়ের কান্না। পঞ্চায়েত ভোটের দিন বেলাগাম সন্ত্রাস। অশান্তি হয়েছিল কোচবিহারের দিনহাটা থেকে তুফানগঞ্জে। ওই রাতেই বাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশী রাজ্য অসমে আশ্রয় নেন বিজেপির কয়েকশো কর্মী-সমর্থক এবং প্রার্থী। প্রাণ বাঁচাতে অসমে গা ঢাকা দেন সিপিএমের কয়েকজন কর্মী-প্রার্থী এবং প্রাক্তন বিধায়কও।