WB Covid Update: রাজ্যের কোনও নমুনায় নেই JN.1 ভ্যারিয়েন্ট! আপাতত 'স্বস্তি'
JN.1 Variant in WB:বর্ষশেষের উৎসবের মরসুমে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে কোভিড-উদ্বেগ। সারা দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। একই ছবি বাংলাতেও।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রাজ্যে বেশ কয়েকজন নতুন করে করোনা (Covid Infection) আক্রান্ত হয়েছেন, এই উদ্বেগের মাঝেই স্বস্তির খবরও মিলেছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে (Genome sequencing) এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কোনও নমুনায় মেলেনি JN.1 এর খোঁজ।
নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য সাতটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিকস-এ। সেখান থেকে জানানো হয়েছে কোনও নমুনাতেই কোভিডের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট JN.1- পাওয়া যায়নি।
বর্ষশেষের উৎসবের মরসুমে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে কোভিড-উদ্বেগ। সারা দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। একই ছবি বাংলাতেও। রাজ্যে বেড়েছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নতুন করে আরও পাঁচজন কোভিড আক্রান্তে খোঁজ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে ২ জন বেলভিউতে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩ জন। চিকিৎসক তুষারকান্তি পাত্র বলেন, 'চিকিৎসক হিসেবে সবসময়ই সতর্ক হতে বলব। কোভিড যেমন রয়েছে, তেমনই অন্য ভাইরাল ইনফেকশনও রয়েছে।' তাই সতর্ক থাকতে ভিড়ে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি, পাশাপাশি যতটা সম্ভব ভিড় এড়াতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছে পরিদর্শন। বিসি রায় হাসপাতালে যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি বিশেষ টিম। পরে, আরজি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও পরিদর্শনে যান তারা। শ্বাসকষ্ট বা ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগীদের চিকিৎসার জন্য় পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। কোভিড টেস্টের পরিকাঠামোও পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য দফতরের স্পেশাল টিম।
নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট (Sub Variant) কতটা উদ্বেগের?
চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, 'নতুন যে সাব ভ্যারিয়ান্ট আমাদের কতটা আক্রমণ করবে তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। যদি পরিসংখ্যান দেখি, ঢুকেছে কেরলে কিন্তু হু হু করে বেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি।' সূত্রের খবর, পরিস্থিতি দিকে নজর রেখে বেলেঘাটার নাইসেড-এও শুরু হতে চলেছে জেনোমিক সিকোয়েন্সিং।
ভারতে JN.1 নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হলেও এখনই টিকা নিয়ে হুড়োহুড়ি করার প্রয়োজন নেই। ANI-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে INSACOG প্রধান এনকে অরোরা জানিয়েছেন, 'যাঁদের বয়স ৬০ বছর বা তারও বেশি তাঁদের কোভিড থেকে বাঁচার জন্য সাবধানতা নেওয়া উচিত। যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, যাঁরা এমন ওষুধ নেন যার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাঁদের সাবধানী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এমন ব্যক্তিরা যদি এখনও কোনও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নেন, তাহলে তাঁরা অবশ্যই সেটা নিন, এখনই কোনও টিকার প্রয়োজন নেই।'
আরও পড়ুন:'এজেন্সি নয়, সংগঠনের উপর নির্ভর করে লড়াই', রাজ্য বিজেপিকে শাহি-নির্দেশ