Jadavpur University: কেন উদাসীন কর্তৃপক্ষ? ফের সহ-উপাচার্য ও ডিন অফ স্টুডেন্টসকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত
JU Student Death: হস্টেলে অনিয়ম, নেই সিসিটিভি। কেন রক্ষণাবেক্ষণ হত না ? কেন উদাসীন কর্তৃপক্ষ। প্রশ্নের উত্তর জানতে সহ-উপাচার্য, ডিন অফ স্টুডেন্টসকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্রের মৃত্যু-তদন্তে ফের সহ-উপাচার্য ও ডিন অফ স্টুডেন্টসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে পুলিশ। হস্টেলে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম চললেও কেন উদাসীন কর্তৃপক্ষ? কেন সিসিটিভি নেই বা বসানো হয়নি বা রক্ষণাবেক্ষণ হত না? এ নিয়ে জানতেই ফের সহ-উপাচার্য, ডিন অফ স্টুডেন্টসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে পুলিশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন থামছে না। যা খতিয়ে দেখছে পুলিশও এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত ও ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এর আগে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ২বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সূত্রের দাবি, তদন্তকারীরা জানতে চান, UGC-র নির্দেশিকায় হস্টেলে সিসি ক্য়ামেরা লাগানোর কথা বলা থাকলেও, যাদবপুর হস্টেল ক্য়াম্পাসে সিসি ক্যামেরা নেই কেন? গত কয়েকদিনে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, মেন হস্টেলে অন্তত ২০ জন প্রাক্তনী থাকতেন। হস্টেলে দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম চললেও কেন উদাসীন ছিল কর্তৃপক্ষ?এছাড়াও সহ উপাচার্য ও ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছ থেকে আরও বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্য়ুর দায় কার? এই একটা প্রশ্ন ঘিরেই এখনও তোলপাড় চলছে। তার মধ্য়ে র্যাগিং রুখতে রাজ্য সরকার সার্কুলার জারি করেছে। ২০০৭ সালে রাঘবন কমিটির সুপারিশ, ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং UGC-র একগুচ্ছ গাইডলাইন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং-রোগ সারাতে প্রায় দেড় দশক আগেই তৈরি হয়েছিল ওষুধ। কিন্তু, দেশের অন্য়তম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরে যে সেই ওষুধ প্রয়োগই হয়নি, তা কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে পড়ুয়া মৃত্য়ুর মর্মান্তিক ঘটনা।
তারও পাঁচদিন পর,পুরনো সেই গাইডলাইনের ভিত্তিতেই, র্যাগিং রুখতে নতুন সার্কুলার জারি করেছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন দফতর ও রাজভবনকে পাঠানো সেই নির্দেশিকায় মূলত রাঘবন কমিটির সুপারিশ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও UGC-র গাইডলাইনগুলিই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম, অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইন ও অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড চালু, হস্টেলে সর্বক্ষণের জন্য ওয়ার্ডেন নিয়োগ রাজ্য এবং জেলাস্তরে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি তৈরির উল্লেখ রয়েছে।জেলাশাসক এবং কলকাতার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনারকে এই নির্দেশিকা মানতে হবে। ছাত্র ও অভিভাবকদের তোলা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে হবে ওই কমিটিকে।