Platelet : ডেঙ্গি বাড়তেই প্লেটলেটের হাহাকার ! বিপাকে ক্যান্সারের রোগীরাও
Platelet Crisis In Kolkata : শুধু মশাবাহিত রোগে আক্রান্তরাই নন, প্লেটলেটের আকালে সমস্যায় পড়েছেন অন্যান্য রোগীরাও।
সন্দীপ সরকার, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কলকাতা এবং বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গির (Dengue) দাপট কমছে না! স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি, চলতি বছরে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার।বেসরকারি মতে, মশাবাহিত এই রোগে এবছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২জনের। হাসপাতালে বাড়ছে আক্রান্তদের ভিড়। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতি, যেন আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে প্লেটলেটের আকাল! (platelet crisis)
কিছু ক্রিটিক্যাল ডেঙ্গি আক্রান্তের জন্য প্লেটলেট অত্যন্ত জরুরি জিনিস, সেটিই এখন পাওয়া যাচ্ছে না বহু সরকারি হাসপাতালে। এমনকী মানিকতলা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের ছবিটাও একইরকম। তবে শুধু মশাবাহিত রোগে আক্রান্তরাই নন, প্লেটলেটের আকালে সমস্যায় পড়েছেন অন্যান্য রোগীরাও।
যেমন, বীরভূমের রামপুরহাটের (Rampurhat) বাসিন্দা তুহিন খাঁ, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে প্লেটলেট না পেয়ে, মানিকতলায় এসেছিলেন তাঁর আত্মীয়। কিন্তু, এখানেও মেলেনি প্লেটলেট।
বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের, মেডিসিন বিভাগের ৪৪টি বেডই ভর্তি। সেখানে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি, জ্বরে আক্রান্ত অন্যান্য রোগীরাও ভর্তি আছেন। ডেঙ্গির দাপট বাড়তে থাকায় এখানে সব রোগীকেই মশারির ভিতরে রাখা হয়েছে।
মশাবাহিত রোগের কবল থেকে বাঁচতে, মশারি হল অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। কিন্তু, আপনারা কি জানেন মশারি শুধু মশার কবল থেকে বাঁচতে নয়, মশাকে মারতেও পারে ! এমনই এক বিশেষ মশারি এবার বিলি করবে কলকাতা পুরসভা। পুরসভা আশাবাদী, বিশেষ ধরনের এই মশারি ব্যবহারের ফলে মশার উৎসও অনেকাংশে বিনাশ করা সম্ভব হবে।
এখন প্রশ্ন কী এই প্লেটলেট ?
রক্তের মধ্যে শ্বেতকণিকা, লোহিত কণিকার সঙ্গে থাকে অনুচক্রিকা। যা, রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। প্লেটলেট কমে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে অতিরিক্ত সময় নেয়। শরীরের ভিতরে বা বাইরে কোথাও রক্তবাহিকা ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তপাত শুরু হয়। সেখানে ছুটে আসে অনুচক্রিকা। রক্ত জমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসককে ডেঙ্গির ধরন, রোগীর শরীরের গতিবিধি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, ব্লাড ট্রান্সফিউশনের প্রয়োজন আছে কি না। জ্বর কমার পর কিন্তু প্লেটলেট কমতে পারে। তাই জ্বর কমার পর নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট মনিটর করতে হবে। চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে তবেই প্লেটলেট দেওয়া দরকার, অযথা প্লেটলেট দেওয়া কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন :
ভাইরাস ভেবে প্লেটলেট নষ্ট করে ফেলছে ইমিউনিটি সিস্টেম ! এতো উল্টো সঙ্কট !
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )