![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Durga Puja 2023: বড় দুয়ারের দুর্গা, দুর্গাপুর-ফরিদপুরের ব্যানার্জি বাড়ির মায়ের পুজোয় দেওয়া হয় নাড়ু বলি
Durgapur Faridpur Block : প্রাচীনকালে এই মায়ের মন্দির ছিল তালপাতার ছাউনির। ১৬ বছর আগে ব্যানার্জি পরিবারের সদস্যরা মন্দিরের নতুন রূপ দেন
![Durga Puja 2023: বড় দুয়ারের দুর্গা, দুর্গাপুর-ফরিদপুরের ব্যানার্জি বাড়ির মায়ের পুজোয় দেওয়া হয় নাড়ু বলি Durga Puja 2023: Get to know the history of Banerjee Family's Puja of Durgapur Faridpur Block Durga Puja 2023: বড় দুয়ারের দুর্গা, দুর্গাপুর-ফরিদপুরের ব্যানার্জি বাড়ির মায়ের পুজোয় দেওয়া হয় নাড়ু বলি](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/10/07/fa04cd578b52df5804dc4afb5d34c2741696683513747170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : প্রায় ৪০০ বছর আগে শুরু। আজও প্রথা মেনেই পুজো হয়ে আসছে দুর্গাপুর (Durgapur) ফরিদপুর ব্লকের ইছাপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমলৌকা গ্রামের ব্যানার্জি বাড়ির দুর্গার (Durga Puja)। এখানে মা দুর্গা পূজিত হন বৈষ্ণব মতে। তাই কোনও বলিদান প্রথা নেই। বর্তমানে ব্যানার্জি পরিবারে ৫৭ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরাই পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রাচীনকালে এই মায়ের মন্দির ছিল তালপাতার ছাউনির। ১৬ বছর আগে ব্যানার্জি পরিবারের সদস্যরা মন্দিরের নতুন রূপ দেন।বর্তমান ব্যানার্জি পরিবারের সদস্য করুণাময় ব্যানার্জি জানান, আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে তাঁদের বংশের প্রাণপুরুষ রামযাদব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম শুরু করেন এই দুর্গাপুজোর।
আমলৌকা গ্রামের ব্যানার্জি বাড়ির দুর্গা বড় দুয়ারের দুর্গা নামেও পরিচিত এলাকায়। পুজোর চার দিন ব্যানার্জি পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। এখানে দুর্গাপুজোয় একটি বিশেষ প্রক্রিয়া রয়েছে যা সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। বলিদান প্রথা না থাকলেও, এখানে একটি বিশেষ নাড়ু বলির প্রথা রয়েছে। মহাষ্টমীর দিন হয় এই নাড়ু বলির প্রক্রিয়া। তবে নাড়ু বলির নামকরণ হলেও, বলিদানে ব্যবহৃত হয় না কোনও রকম অস্ত্র। নিষ্ঠার সঙ্গে নাড়ু তৈরি করতে হয় পরিবারের সদস্যদেরই। লম্বা আকারের একটি নাড়ু তৈরি হয়, সেটা চন্দন পিঁড়ির ওপর রেখে দেওয়া হয় মায়ের সামনে। সঠিক সময়ে নিজের থেকেই নাড়ু দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রাণের উৎসব-
বাঙালির প্রাণের উৎসব। সারা বছরই যার অপেক্ষা লেগে থাকে। দুর্গাপুজোর সময় যত এগিয়ে আসে, তত বাড়ে উন্মাদনা। এ ছবি বছর বছর ঘুরে ফিরে আসে। তারপর কয়েকটা দিন কার্যত আবেগে ভাসে বাঙালি। দূর দূরান্ত থেকে পুজোর টানে ঘরে ফিরে আসেন উৎসবপ্রেমী বাঙালি। এবারও তার অন্যথা হবে না বলাইবাহুল্য। খুঁটিপুজোর মধ্যে দিয়েই যার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। এবার মা আসছেন ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়ায়। যার ফল হবে- ছত্রভঙ্গ। অর্থাৎ শাস্ত্র বলছে, এর জেরে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সামরিক অস্থিরতা বাড়বে। শুধু তা-ই নয়, মা দুর্গা ফিরবেনও ঘোটক বা ঘোড়াতে চড়েই।
দুর্গাপুজো ২০২৩-এর নির্ঘণ্ট-
মহাষষ্ঠী- ২০ অক্টোবর (২ কার্ত্তিক), শুক্রবার
মহাসপ্তমী- ২১ অক্টোবর (৩ কার্ত্তিক), শনিবার
মহাষ্টমী - ২২ অক্টোবর (৪ কার্ত্তিক), রবিবার
মহানবমী- ২৩ অক্টোবর (৫ কার্ত্তিক), সোমবার।
বিজয়া দশমী- ২৪ অক্টোবর (৬ কার্ত্তিক), মঙ্গলবার।
(তথ্যসূত্র- বেণীমাধব শীলের ফুলপঞ্জিকা)
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)