Durgapur Incident Update: 'এদিকে তো রিপোর্ট ভালই, বাইরে কী করছে...', দুর্গাপুরে নির্যাতিতার সহপাঠীকে নিয়ে যা বললেন গ্রামবাসী...
Paschim Burdwan News: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে আপাতত পুলিশ হেফাজতে ঠাঁই হয়েছে তাঁর

রাজীব চৌধুরী : বুধবার দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা, নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলি। জঙ্গিপুরের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে IQ সিটি মেডিক্যালে ডাক্তারি পড়তে গেছিল ওয়াসেফ। গ্রামবাসী বলছেন, জমি-জায়গা বিক্রি করে ছেলেকে ডাক্তার বানাতে পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাবা। ছোটবেলা থেকে শান্ত, ধীরস্থির ছেলেটাই এখন দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিশ হেফাজতে। Paschim Burdwan News Durgapur Incident
গ্রামের প্রথম মেডিক্যাল পড়ুয়া, সবার গর্ব। গ্রাম থেকে প্রথম কেউ ডাক্তার হবে বলে কথা। কিন্তু দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে আপাতত পুলিশ হেফাজতে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমি একটা বার্তা দিচ্ছি বন্ধুদের আর বিশ্বাস কোরো না। এই বিশ্বাস করলে নরকেই যাবে।"
দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে মঙ্গলবারই গ্রেফতার হয়েছে নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলি। যাঁর বাড়ি মালদার (Malda News) কালিয়াচকের সিলামপুর গ্রামে। ছোট থেকে গ্রামের বাইরে থেকেই লেখাপড়া করেছেন ওয়াসেফ। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন জঙ্গিপুরের একটি আবাসিক স্কুল থেকে। এরপর ডাক্তারি পড়ার জন্য় সর্বভারতীয় প্রবেশিকা NEET পাস করে দুর্গাপুরের IQ সিটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন ওয়াসেফ। একেবারে ছাপোষা পরিবারের ছেলে। বাবা আনিসুর রহমান ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা করেন। তিনি সিলামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ বারের কংগ্রেস সদস্য। ওয়াসেফের ২ বোনও গ্রামের বাইরের স্কুলে পড়াশোনা করে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য়, জমি বিক্রি করে ছেলেকে ডাক্তারি পড়াচ্ছিলেন বাবা। ওয়াসেফ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে পরিবারের সদস্যদের কারও খোঁজ নেই। দুর্গাপুরের নির্যাতিতার ধৃত সহপাঠীর প্রতিবেশী শ্রীরাম সাহা বলেন, "আমাদের এদিকে তো রিপোর্ট ভালই আছে ছেলেটার। বাইরে কী করছে কে বলতে পারবে ? পড়াশুনার জন্য ওর বাবা পাঠিয়েছে। তারপর কী ঘটনা হল আমরা তো জানি না।" অপর এক প্রতিবেশী সমীর মহলদার বলেন, "ভদ্র ছেলে, কথা কম বলে। কিন্তু যোগ্যতা আছে। লেখাপড়ার দিক দিয়ে ভাল। ফ্যামিলিটাও খুব ভাল।" ওয়াসেফের পরিবার এখন কোথায়, প্রতিবেশীরা তা জানেন না। কালাম মহালদার নামে এক প্রতিবেশী বলেন, "দোকান দেখে তো বুঝতে পারছেন কীরকম অবস্থা কীরকম বাড়িঘর। হয়তো বাপের জমি জায়গা বিক্রি করে ছেলেটাকে মানুষ করার জন্য ডাক্তারি লাইন পড়াবার জন্য...ছেলেটাকে মানুষ করছে।"
সামনে ছিল উজ্বল ভবিষ্যত। কিন্তু সেই ছেলের বিরুদ্ধেই এখন ভয়ঙ্কর অভিযোগ। ডাক্তারি পড়ার পরিবর্তে ঠাঁই পুলিশের লকআপে।






















