Awas Scam: আবাসের সমীক্ষাতে মিলল না হদিশ, তালিকার পাঁচ জায়গায় একই ব্যক্তির নাম
East Burdwan: দুটি গ্রামে ৫টি আলাদা ঠিকানায় খোঁজ নিতে গেলে এবিপি আনন্দর প্রতিনিধি সুদেষ্ণা রায়ের বাবা ও স্বামীকে খুঁজে পেলেও উপভোক্তার অস্তিত্ব মেলেনি।
রানা দাস, কাটোয়া: কাটোয়া (Katwa) ২ নম্বর ব্লকের জগদানন্দ পঞ্চায়েতে অবাক ছবি। আবাস (Awas Scam) তালিকায় ভুতুড়ে নাম। একই ব্যক্তির নাম তালিকার পাঁচ জায়গায়। সমীক্ষাতে গিয়ে খুঁজেই পাওয়া গেল না কাউকে।
একজনেরই নাম উঠেছে ৫ বার। কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের আমডাঙা ও মুস্থলি গ্রামে সমীক্ষায় গিয়ে হতবাক বিডিও অফিসের কর্মীরা। আবাস তালিকায় সুদেষ্ণা রায়ের নাম রয়েছে ৫ জায়গায়। উপভোক্তার নাম এক হলেও, স্বামী বা বাবার নাম আলাদা। দুটি গ্রামে ৫টি আলাদা ঠিকানায় খোঁজ নিতে গেলে এবিপি আনন্দর প্রতিনিধি সুদেষ্ণা রায়ের বাবা ও স্বামীকে খুঁজে পেলেও উপভোক্তার অস্তিত্ব মেলেনি। আর বিজেপির দাবি, ভুয়ো নামের আড়ালে এভাবেই আবাস-দুর্নীতি চলছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তারাই ভূতুড়ে নামের বিষয়টি সামনে এনেছে। সরকারি কর্মীদের ভুলে এই গন্ডগোলের কারণে দল বিপাকে পড়ছে। যদিও ভুলের কথা অস্বীকার করেছেন কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের BDO.
আমডাঙা গ্রামের আবাসের তালিকার ৭ নম্বর সিরিয়ালে আছে সুদেষ্ণা রায়ের নাম। পিতা বা স্বামী ঘরে মানিক দাস। আবার ১৬ ও ১৯ নম্বরে আছে সুদেষ্ণা রায় এর নাম।পিতা ও স্বামীর জায়গায় যথাক্রমে বিশ্বনাথ দাস ও গুরুপদ মাঝি। আবার পাশের গ্রাম মুস্থলি গ্রামে আবাসের তালিকাতে আছে ৫৫ ও ৫৭ নম্বর সিরিয়ালে সুদেষ্ণা রায়ের নাম। স্বামী ও পিতার নামের ঘরে যথাক্রমে শক্তিপদ খা ও নারায়ণ মাঝি। তালিকায় থাকা পিতা ও স্বামীর জায়গায় যাদের নাম রয়েছে তারা প্রত্যেকেই আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কারও বাড়ি মাটির তো কারও টিনের। তাঁদের আক্ষেপ এই ভুতুড়ে নামের জন্য তারা প্রকৃত যোগ্য উপভোক্তা হওয়া সত্বেও ঘর পাচ্ছে না। নাম না মেলায় সমীক্ষক দল ফিরে যাচ্ছে।
তৃণমূলের দাবি তারা আবাসের তালিকা যাচাই করে ভূতুড়ে নামটি উদ্ধার করে। কাটোয়া দু'নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ গৌতম ঘোষাল বলেন "সুদেষ্ণা রায় নামে এই পঞ্চায়েতে কেউ নেই। তার উপর আবার পাঁচটা নাম। সরকারি কর্মীদের ভুলের জন্য দলের ক্ষতি হবে। বিজেপি এটাকে নিয়ে রাজনীতি করে বলবে, তৃণমূল এই নামগুলো ঢুকিয়েছে।'' বিজেপির কটাক্ষ আসলে ঝোলা থেকে ভূত বেড়িয়ে পড়েছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সীমা ভট্টাচার্য বলেন, "আসলে তৃণমূল টাকা আত্মসাতের জন্য ভুয়ো নাম ঢুকিয়েছিল। এখন বুঝতে পারছে তা সম্ভব নয়। তাই নিজেদের বাঁচাতে সরকারি কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। তদন্ত করলে ধরা পড়বে ভূতের আঁতুড় ঘর।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Jagaddhatri Puja 2024: ভিড় সামলাতে উদ্যোগ, জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে বিশেষ ট্রেনের ঘোষণা রেলের