Manik Bhattacharya Update: টেট দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত মানিকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ইডির হলফনামা
ED On Manik Bhattacharya: হলফনামায় ইডি জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণে টাকা জমা পড়েছে মানিকের পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে। টেট কাণ্ডে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যই দুর্নীতির অন্যতম কিংপিন।
কলকাতা: টেট (TET) দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত মানিকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ইডির (ED) হলফনামা। হলফনামায় ইডি জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণে টাকা জমা পড়েছে মানিকের পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে। টেট কাণ্ডে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যই দুর্নীতির অন্যতম কিংপিন। টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরির প্রস্তাব দিতেন মানিক ভট্টাচার্যই। ১০ বছর পর্ষদ সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্যের আমলে নিয়োগ হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার শিক্ষক।
সুপ্রিম কোর্টে ইডির হলফনামা: সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির। শীর্ষ আদালতে ইডি জানিয়েছে, "টাকার উৎস কী? জবাব দিতে পারেননি প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না টেট দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য। মানিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অপরাধের যোগসূত্র থাকা নথির হদিশ মিলেছে। মানিকের ছেলে সৌভিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখে বিপুল সম্পত্তির হদিশ। মানিকের বাড়িতে মেলা সিডিতে থাকা ৬১জনের মধ্যে ৫৫জনের চাকরি। মানিকের বাড়ি থেকে পাওয়া ডিজিটাল নথিতে চাকরি বিক্রির তথ্য।
সোমবারও সুপ্রিম কোর্টে মিলল না স্বস্তি। আপাতত ED’র হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। এদিন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে ED’র তরফে বলা হয়, মানিক ভট্টাচার্য এই দুর্নীতির অন্যতম ‘কি পার্সন’। তিনি অর্থের বিনিময়ে চাকরির প্রস্তাব দিতেন। মানিক ভট্টাচার্য ১০ বছর পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। এই সময়কালে ৫৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। ২২ জুলাই, মানিক ভট্টাচার্যর বাড়িতে তল্লাশি চালান হয়। সেখান থেকে এমন একাধিক নথি পাওয়া গেছে, যেখান থেকে প্রমাণিত হয় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র। একাধিক ডিজিটাল নথিও উদ্ধার হয়েছে। এই সব নথি যাচাই করে, টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বিক্রির বিষয়ে নিশ্চিত হয় ED।ইডির আরও দাবি, মানিক ভট্টাচার্যর ছেলে সৌভিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখে, অপরাধমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে বিপুল টাকা তোলার চক্র সামনে আসে। মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া CD থেকে ৬১জন চাকরিপ্রার্থীর নাম পাওয়া গেছে। যাঁদের মধ্যে ৫৫জন চাকরি পেয়েছেন।
এর আগে, মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন,গত তিন মাস ধরে CBI-ED’র সঙ্গে সহযোগিতা করছেন মানিক ভট্টাচার্য। তা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে ED। এদিনের শুনানিতে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন,দুর্নীতির সঙ্গে সরকারের শীর্ষস্তরের আমলা ও মন্ত্রীরা যুক্ত রয়েছেন। মঙ্গলবার, ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার, অন্তবর্তী রায় দিতে পারে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: Birbhum News: লক্ষাধিক টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার নানুরে, গ্রেফতার এক