ED Raid: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তল্লাশিতে ফাইল ডাউনলোডের কারণ ব্যাখ্যা করে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি ইডি-র
Kolkata Police:লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস বিতর্কে নতুন মোড়। সূত্রের খবর, ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের কারণ ব্যাখ্যা করে এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিল ইডি।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস (Leaps And Bounds Controversy) বিতর্কে নতুন মোড়। সূত্রের খবর, ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের কারণ ব্যাখ্যা করে এবার কলকাতার পুলিশ (CP Of Kolkata Police) কমিশনারকে চিঠি দিল ইডি (ED)।
কী লেখা চিঠিতে?
চিঠিতে উল্লেখ, নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশি অভিযান শেষের আগে ইডি-র এক তদন্তকারী অফিসার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওয়েবসাইট খুলেছিলেন। ইডি-র দাবি, ওই অফিসারের ১৮ বছরের মেয়ের ২৩ অগাস্ট থেকে কলেজে নতুন ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। যাদবপুরের র্যাগিংকাণ্ডের পর রীতিমতো উদ্বিগ্ন ছিলেন ওই ইডি অফিসার। তাই মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজতে গিয়ে এই ১৬টি ফাইল কোনওভাবে ডাউনলোড হয়ে যেতে পারে। চিঠিতে ইডি-র দাবি, অভিযোগকারী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তিন কর্মীর সামনেই এই ঘটনা ঘটে। পুরোটাই সিসি ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জেনেই কলকাতা পুলিশকে এই চিঠি বলে ইডি জানিয়েছে। চিঠিতে ইডি-র আরও দাবি, ওই দিন গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া ও তল্লাশি অভিযান PMLA-র ১৭ নম্বর ধারা মেনেই চালানো হয়েছিল। কোনও বেআইনি কাজ হয়নি।
কেন বিতর্ক ১৬ ফাইল নিয়ে?
দিনদুয়েক আগে সংস্থার তরফে অভিযোগ করা হয়, তল্লাশি চলাকালীন কোম্পানির কর্মীদের অজ্ঞাতসারে, বেআইনিভাবে লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের অফিসের কম্পিউটারে ১৬টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করেন ইডির অফিসাররা। ওই ফাইলগুলির সঙ্গে লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানানো হয়েছিল। লালবাজারের সাইবার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করে লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডস কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি তল্লাশির পর ইডির তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দাবি করা হয়, লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের সিইও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কালীঘাটের কাকুর সূত্র ধরে, ১৮ ঘণ্টা ধরে নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ম্য়ারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, তল্লাশিতে মিলেছে ১ হাজার পাতার নথি, লেজার বুক, ডিজিটাল নথি ও হার্ড ডিস্ক। ইডি সূত্রে খবর, হার্ড ডিস্কে একাধিক কোম্পানির নাম মিলেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস এই কোম্পানিগুলির 'কনসালটেন্সি ফার্ম' হিসেবে কাজ করত। কিন্তু এই কোম্পানিগুলির আদৌ কোনও অস্তিত্ব আছে কি ? এই প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে, তখন পাল্টা ইডির বিরুদ্ধে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে এদিন চিঠি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।