Kolkata News: কলকাতার নামী হাসপাতালে এবার জাল ইঞ্জেকশন ! বড় সার্জারিতে ব্যবহার হয় এই গুরুত্বপূর্ণ অ্যালবুমিন..
Kolkata Hospital Fake Albumin Injection Rescue: উল্টোডাঙার নার্সিংহোমে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের অভিযান, প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য !

কলকাতা: কলকাতার নামী হাসপাতালেও এবার জাল ইঞ্জেকশন! মুম্বই থেকে ৩ হাত ঘুরে কলকাতার হাসপাতালে জাল ইঞ্জেকশন। উল্টোডাঙার নর্থ সিটি নার্সিংহোমে জাল অ্যালবুমিন ইঞ্জেকশন। কলকাতায় ছড়িয়ে জাল ইঞ্জেকশন, অভিযোগ প্রস্তুতকারী সংস্থার।
উল্টোডাঙার নার্সিংহোমে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের অভিযান। উদ্ধার নামী সংস্থার ব্র্যান্ড নেমে নকল ইঞ্জেকশনের ৫টি ফাইল। 'ইঞ্জেকশন যে নকল, জানা ছিল না বলে দাবি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। নার্সিংহোমের সূত্র ধরে বেলেঘাটার ডিস্ট্রিবিউটরের গুদামে হানা। মেহতা বিল্ডিংয়ের এক স্টকিস্টের কাছ থেকে জাল ওষুধ, দাবি ডিস্ট্রিবিউটরের', মুম্বইয়ের একটি সংস্থা থেকে নকল ইঞ্জেকশন পাওয়ার দাবি স্টকিস্টের।

সম্প্রতি স্যালাইন থেকে শুরু করে ওষুধ সবই প্রায় এসেছে স্ক্যানারে। উঠেছে বিস্ফোরক অভিযোগ। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধ নেই তো? সম্প্রতি পুরসভার অধিবেশনে জানতে চেয়েছিলেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। পুরসভার কোনও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধ ব্যবহার করা হয় না। কাউন্সিলরের প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ।
প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ চিকিৎসা করাতে যান কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। সেখান থেকে মেলে ওষুধও। কিন্তু পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধ নেই তো? অথবা পুরসভার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে কীভাবে ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা হয়? তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে এই প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-ই। দলের কাউন্সিলরের তরফ থেকে এহেন প্রশ্ন ওঠায়, উত্তর দেন ডেপুটি মেয়র এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ।
তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, কলকাতা পুরসভার কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধ ব্যবহার করা হয় না। স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলারের মাধ্যমে ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়। তারা দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ওষুধ নেওয়া হয়।তাই গুণগত মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া ওষুধের ব্যবহারের প্রশ্নই ওঠে না।কলকাতা পুরসভা ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, ৫ মিনিট ২০ সেকেন্ড থেকে প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে নজরদারি চালায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু পুরসভা নজরদারি করলে ভাল হয়। কোনও অঘটন ঘটলে পুরসভা দায় এড়াতে পারে না। একটা পর্যবেক্ষণ হওয়া উচিত।কলকাতা পুরসভা স্বাস্থ্য বিভাগ ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেছিলেন, ওষুধ কীভাবে কেনা হয় এবং বিশ্বরূপ নতুন কাউন্সিলর নিয়ম জানেন না।
আরও পড়ুন, চিনার পার্কের একটি ফ্ল্যাটে ভুয়ো IT অভিযান, গ্রেফতার ১ মহিলা কনস্টেবল-সহ ৫ CISF জওয়ান !
সময় বাঁচাতে আজকাল অনেকেই অনলাইনে ওষুধ কেনেন। তবে অনলাইনে যে ওষুধ কিনছেন তার গুণগত মান ঠিক আছে তো? অনলাইনে আপনার কেনা ওষুধ জাল নয়তো? সম্প্রতি হাওড়ার এক ব্যক্তির অভিযোগে তদন্তে নামে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। দেখা যায়, নামী সংস্থার হার্টের জাল ওষুধ উদ্ধার হয়েছে আগরপাড়া, টিটাগড় ও নাগেরবাজারে। চিহ্নিত করা হয়েছে জাল ওষুধের ২ হোলসেলারকে।তদন্তে দেখা গেছে এই সব ওষুধ এসেছিল উত্তরপ্রদেশের এক হোলসেলারের থেকে। তবে কোন রাজ্যে, কারা এই জাল ওষুধ প্রস্তুত করেছিল এখনও তার তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে ভিন রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। এর আগে আমতা থেকে জাল ওষুধ চক্রের একজন হোলসেলার গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই তদন্ত CID-র হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।






















