Kolkata News:বরানগরে সিপিএমের পার্টি অফিসে আগুন, অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের বিরুদ্ধে
Fire At CPM Party Office:বরানগরে সিপিএমের পার্টি অফিসে অগ্নিকাণ্ড! পুড়ে ছাই আসবাব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি। ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। অভিযোগ দায়ের হয়েছে বরানগর থানায়।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: বরানগরে (Baranagar) সিপিএমের পার্টি অফিসে (CPM Party Office) অগ্নিকাণ্ড (Fire)! পুড়ে ছাই আসবাব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি। ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। অভিযোগ দায়ের হয়েছে বরানগর থানায়। অভিযোগ খারিজ করেছেন বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন।
কী ঘটল?
লেনিনের জন্মদিবসের অনুষ্ঠানের পর দেড়ঘণ্টাও কাটল না! অগ্নিকাণ্ডে ছারখার সিপিএমের পার্টি অফিস! শনিবার বরানগরের বনহুগলিতে বনরিনি কমপ্লেক্সের মধ্যে ঘটেছে এই কাণ্ড! ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। তারা জানিয়েছে, লেনিনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সেখানকার স্থানীয় কর্মীরা একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। অভিযোগ, তাঁরা পার্টি অফিস থেকে চলে যান। তারপর এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সব পুড়ে গিয়েছে। কোনওভাবে জল দিয়ে নেভানো হয়। তবে অফিসের সব ফার্নিচার পুড়ে গিয়েছে। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। যদিও
সিপিএমের অভিযোগ, এর আগে ওই পার্টি অফিসের সামনেই শহিদ বেদি ভাঙা হয়েছিল। এবার আগুন লাগানো হল পার্টি অফিসে! সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে বরানগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন নয়।
আগেও অভিযোগ...
গত বছর সেপ্টেম্বরে সিপিএমকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, 'মমতা ব্যানার্জী ও অভিষেক ব্যানার্জী নির্দেশ দিয়েছে শান্ত থাকতে, তাই শান্ত আছি। সিপিএম যে তাণ্ডব করেছে, তা বন্ধ করা ৫ মিনিটের ব্যাপার ছিল।' অভিযোগ, এর পরই বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে সিপিএমের এরিয়া কমিটির অফিসে হামলা চালায় তৃণমূল। তাতেই শেষ হয়নি। পরে বর্ধমানের বড়নীলপুর বাজারে সিপিএমের ৪ নম্বর লোকাল কমিটির অফিসেও হামলার অভিযোগ ওঠে । ভেঙে দেওয়া হয় পার্টি অফিসের সামনে থাকা শহিদ বেদি। গেটে তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।সেবার সিপিএমের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে তুলকালাম বেধেছিল বর্ধমান শহরের কার্জন গেট এলাকায়। যেদিন পুলিশকে লক্ষ্য করে উড়ে গিয়েছিল ইট, ভেঙে দেওয়া হয় বিশ্ব বাংলা লোগো লাগানো ফলক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ। পাশাপাশি লাঠিচার্জও করে পুলিশ । সেদিন বড়নীলপুর থেকেই শুরু হয়েছিল সিপিএমের আইন অমান্য কর্মসূচির মিছিল। যা ঘিরে পরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কার্জন গেট লাগোয়া এলাকা। সেখানকার পার্টি অফিসেই হামলার অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন:হার্দিক-ঋদ্ধির লড়াইয়ে লখনউয়ের বিরুদ্ধে ১৩৫ রান তুলল গুজরাত






















