Kolkata Airport Fire: ব্যস্ত সময়ে কলকাতা বিমানবন্দরে আগুন, থমকে একাধিক উড়ান, আতঙ্ক যাত্রীদের মধ্যে
Fire: আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। দমকলের ৮টি ইঞ্জিনের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন।

শিবাশিস মৌলিক ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: ব্যস্ত সময়ে কলকাতা বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন। থমকে রয়েছে একাধিক উড়ান। কলকাতা বিমানবন্দরের ভিতরে রাত ৯টা ১২মিনিট নাগাদ সিকিওরিটি চেকিংয়ের জায়গায় আগুন লেগেছিল। আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। দমকলের ৮টি ইঞ্জিনের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। কিন্তু যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। আগুন লাগার পড়ে স্বভাবতই আতঙ্কে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে অনুমান।
বিমানবন্দরের সিকিওরিটি চেকিংয়ের জায়গায় কড়া নিরাপত্তা থাকে। সেখানে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন যাত্রীরা। সেখানে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। বিমানবন্দরের বিদ্যুতের তারে আর কোথাও সমস্যা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব নিরাপদ মনে করলে তবেই ফের পরিষেবা চালু হবে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত বন্ধ রয়েছে বিমান পরিষেবা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। আগুন লাগার পর, সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে যাত্রী এবং কর্মীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ডোমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্চার খালি করা হয়। নতুন করে যাতে আগুন না ছড়ায়, খেয়াল রাখা হয় সেদিকে। কিন্তু ব্যস্ত সময়ে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। আগুন লাগল কী করে, কেন চোখে পড়ল না, উঠছে প্রশ্ন। রাতের দিকে সাধারণত ভিড় ভালই থাকে বিমানবন্দরে। সিকিওরিটি চেকিং কাউন্টারের সামনে তাই লম্বা লাইন চোখে পড়ে। ওই জায়গায় নিরাপত্তাও থাকে আটোসাঁটো। সেখানে আগুন লাগার পর কীভাবে গোড়াতেই চোখে পড়ল না, আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল কী করে, কেন বিমানবন্দরে থাকা স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কাজ করল না, উঠতে শুরু করেছে এইসব প্রশ্ন।
বিমানবন্দরের যে ডিপার্চার রয়েছে, সেখানকার ১৬ নম্বর কাউন্টার থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। তড়িঘড়ি বিমানবন্দরের তরফে দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দু'টি ইঞ্জিন ছুটে আসে ঘটনাস্থলে গোড়াতেই। পরে আরও ছয়টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। বিমানবন্দরের কর্মীদের একাংশের দাবি, আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। আজও ডিউটি নিয়ে উপরে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই আগুন লাগে। আপাতত চেকিং বন্ধ রাখা হয়েছে। আগুন লাগে যেখানে, সেই জায়গা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। অন্য কাউন্টার দিয়ে চেক ইন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ূন- পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?






















