Gujarat: 'পোস্তা ব্রিজ-বিপর্যয়ে কতজনের শাস্তি হয়েছে?' গুজরাতের সেতু দুর্ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা নিশানা শমীকের
Gujarat Bridge Collapses: শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "গুজরাতে, উত্তরপ্রদেশে কোনও ঘটনা ঘটলে পশ্চিমবঙ্গে এত চিৎকার চেঁচামেছির কী আছে?"
কলকাতা: সংস্কারের পর খুলে দেওয়ার ৪ দিনের মধ্যেই ভেঙে পড়ল ব্রিজ। প্রধানমন্ত্রীর সফর চলাকালীন গুজরাতে মাচ্ছু নদীতে ভয়ঙ্কর সেতু-বিপর্যয়। বহু শিশু সহ অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু! নিখোঁজ অনেকে। অতিরিক্ত পর্যটকের ভারে এই দুর্ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের প্রশ্ন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই কীভাবে খুলে দেওয়া হল এই সেতু? উঠেছে সিবিআই তদন্তের দাবি। তৃণমূলের কটাক্ষ, বাংলা থেকে বিজেপি নেতাদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানো হোক! পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "গুজরাতে, উত্তরপ্রদেশে কোনও ঘটনা ঘটলে পশ্চিমবঙ্গে এত চিৎকার চেঁচামেছির কী আছে? যে ঘটনা ঘটেছে সেটা দুর্ঘটনা। ব্রিজ ভেঙে পড়েছে এটা মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানে যদি কেউ দোষী থাকে, শাস্তি পাবে। সরকার ব্যবস্থা দায়িত্ব নিচ্ছে। আর যখন পোস্তা ব্রিজ ভেঙে পড়ল, কত সরকারি টাকা খরচ হল। কোন অপরাধী শাস্তি পেয়েছে? যারা মারা গেছেন তাঁদের পরিবারের খোঁজ কয়ে নিয়েছেন? মালবাজারে একটা ম্যান মেড ঘটনা ঘটিয়ে দিল। এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে গেল। কী বলবেন? এদের কোনও নৈতিক কিংবা রাজনৈতিক অধিকার নেই এ বিষয়ে মন্তব্য করার।"
আরও পড়ুন, 'গুজরাতে ব্রিজ বানাতে কত কোটির দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনুক বিজেপি’, কটাক্ষ তৃণমূলের
তৃণমূলের তরফে বলা বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ‘বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করুক। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ে কত কোটির দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনুক। আগে গুজরাত সামলান, তারপর বাংলার কথা ভাববেন।" রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, "ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই বলুন, যাঁরা গুজরাত থেকে সারা দেশ পরিচালনা করছে, এখান কার বিজেপি নেতাদের নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ে ব্রিজ পরিদর্শনে পাঠানো হোক, এর মধ্যে কত কোটি টাকা দুর্নীতি আছে, এরা তো শুধু পশ্চিমবঙ্গকে ডিসটার্ব করবে"।
এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি টুইটে লেখেন, "গুজরাতের মোরবিতে ব্রিজ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অত্যন্ত উদ্বেগে রয়েছি। অনেক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। অনেকে এখনও আটকে রয়েছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। যারা আহত হয়েছেন তাঁরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।"